বাংলা রচনা বই PDF কালেকশন - Bangla Rochona for class 5, 6,7,8,9,10

দুর্গাপূজা রচনা (পয়েন্ট আকারে ৮০০ শব্দ) for All Class

২০০-৩০০, ৫০০, ৮০০, ১০০০ শব্দ পয়েন্ট আকারে দুর্গাপূজা রচনা pdf আকারে সম্পূর্ন এখানে পাবেন। আশাকরি, ৫ম, ৬ষ্ঠ, তম, ৮ম, ৯ম, ১০ম শ্রেণি ও JSC, SSC, HSC রচনা প্রতিযোগিতায় ভাল ফলাফল পেতে ও বিজয় পেতে এই দুর্গাপূজা Bangla Rochona পিডিএফ ডাউনলোড করার মাধ্যমে এই পোস্ট আপনাকে হেল্প করবে।

Contents

দুর্গাপূজা রচনা বিস্তারিত

দুর্গাপূজা রচনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ

সূচনা : হিন্দু সম্প্রদায়ের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এ পূজা হিন্দুরা ধর্মীয় আচার ও নিয়ম মাফিক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে উদযাপন করে থাকে। ধনী গরিব নির্বিশেষে হিন্দু নর-নারী, শিশু-বৃদ্ধ সবাই নতুন সাজে সজ্জিত হয়ে দেবীকে দেখার জন্য মন্দিরে-মন্দিরে গমন করে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে সকলে। বাংলার প্রতিটি হিন্দু প্রধান এলাকায় দেখা দেয় আনন্দের কোলাহল। পত্র-পত্রিকাগুলো বের করে বিশেষ সংখ্যা। মন্দিরে-মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এর ঢেউ উপচে পড়ে রেডিও-টেলিভিশনে। প্রকৃতি দেবী এ রমণীয় মূর্তি ধারণ করেন। দুর্গা মূলত শক্তির দেবী।  ইতিহাস : এ পূজার একটি ছোটখাট ইতিহাস রয়েছে। বলা হয়ে থাকে যে, খুব প্রাচীনকালে অযোধ্যায় রামচন্দ্র লঙ্কারাজ রাবণকে বধ করার জন্য শরৎকালে অকালবোধন করে দুর্গাদেবীর বন্দনা করেছিলেন। তাই এটি শারদীয়া দুর্গোৎসব নামে বিশেষভাবে খ্যাত। আবার মহারাজ সুরথ একদা রাজ্য ফিরে পাওয়ার জন্য বসন্ত কালে দুর্গাপূজা করেন। তাই দুর্গোৎসবই আবার বাসন্তী পূজা নামে খ্যাত। অবশ্য আমাদের দেশে এবং অন্যান্য যে সব দেশে হিন্দু সম্প্রদায় বাস করেন, তারা সবাই বেশির ভাগ শারদীয় উৎসবই পালন করে থাকেন। বাসন্তী পূজার প্রচলন খুব একটা নেই।  প্রতিমা বর্ণনা : দেবী সিংহ বাহনা দশভুজা। দেবীর দশ হাতে দশটি অস্ত্র থাকে। মহিষাসুর পদতলে অস্ত্রবিদ্ধ। দেবীর দক্ষিণে লক্ষ্মী এবং সিদ্ধির দেবতা গণেশ। বীণাপাণি সরস্বতী এবং সেনাপতি কার্তিক বামে। গণেশের পাশে কলাবউ মৃত্তিকা। যুদ্ধ সাজে সজ্জিতা দুর্গাদেবী সিংহ ও সাপ দ্বারা বেষ্টিত মহিষাসুর বধে উদ্যতা। দুর্গাদেবীর দশ হাতের দশ অস্ত্র দ্বারা আক্রান্ত অসুরকে তখন ভয়ংকর দেখায়। সিংহ দুর্গাদেবীর বাহন। ইঁদুর ও ময়ূর যথাক্রমে গণেশ ও কার্তিকের বাহন।  পূজার বিবরণ : দুর্গাপূজা পাঁচ দিন ধরে চলে। ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী তিথিতে দেবীর আরাধনা করা হয়। শরতের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে বোধন ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে পূজা আরম্ভ হয়। তবে সপ্তমী থেকেই মূল উৎসব শুরু হয়। মাঙ্গলিক শংক নিনাদ, কুলবধূদের উলুধ্বনি, ঢাক, কাঁসর ও ঘণ্টার ঐক্যতানের মধ্যে পুরোহিতের মন্ত্র উচ্চারণে শুরু হয় দেবীর পূজা। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী পর্যন্ত মহাসমারোহে পূজা চলতে থাকে। ভোর বেলা থেকে পুরোহিতের মন্ত্রে উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে আরম্ভ, দ্বিপ্রহরে প্রসাদ বিতরণ এবং সন্ধ্যা থেকে রাত্রি পর্যন্ত চলে দেবীর আরতি। তিন দিন মহাসমারোহে পূজা শেষে চতুর্থ দিনে হয় দশমী। এ দিন প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। এ দিনটি ‘বিজয়া দশমী’ বলে অভিহিত। প্রতিমা বিসর্জন শেষে বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন পরস্পর পরস্পরের সাথে প্রণাম, নমস্কার, শুভেচ্ছা বিনিময় ও কোলাকুলি করে থাকে। এদিনটি সৌহার্দ স্থাপনের দিন। সব ভেদাভেদ ভুলে একে অপরের মঙ্গল কামনা করে থাকে।  পূজার উপকরণ : দুর্গা পূজায় চাউল, দুর্বা, ফুল, চন্দন, ফল-মূল প্রভৃতি উপকরণ লাগে। পুরোহিত বা ব্রাহ্মণ এসব উপকরণ দিয়ে দেবীর পূজা করেন। 

উপসংহার :

দুর্গাপূজা বাঙালি হিন্দুদের শ্রেষ্ঠ উৎসব। তারা কর্ম ক্লান্ত ও ম্রিয়মাণ প্রাণকে এ উৎসবে সতেজ এবং উৎফুল্ল করে। অতীতে বিষাদ ভুলে গিয়ে সম্প্রীতির ভাব বিনিময় করে। [ একই রচনা আরেকটি বই থেকে সংগ্রহ করে দেয়া হলো ] সূচনা : দুর্গাপূজা হিন্দুদের একটি জাতীয় উৎসব। সকল সম্প্রদায়ের বাঙালি হিন্দু বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে এই উৎসবে যোগদান করে।  পটভূমি : হিন্দু-পুরাণে কথিত আছে, পুরাকালে মহারাজ সুরথ তাঁর রাজ্য হারিয়ে ফেলেন। সেই হারানো রাজ্য ফিরে পাবার উদ্দেশ্যে রাজা দুর্গা দেবীর পূজা করেন। তদবধি হিন্দুরা বসন্তকালেই দুর্গাপূজা করতেন। লংকার যুদ্ধে বিপন্ন রামচন্দ্র আবার দেবী দুর্গার অকাল বোধন করে শরৎকালে। তখন থেকেই হিন্দুরা শরৎকালে এ পূজা করে আসছে। দুর্গাপূজা বলতে হিন্দুদের শারদীয় পূজাকেই বোঝায়।  দুর্গামূর্তি : হিন্দুদের পুরাণে কথিত আছে, পুরাকালে মহিষাসুরকে বধ করবার জন্য যে মূর্তি আবির্ভূত হয়েছিলেন, তাঁর ছিল দশটি হাত। প্রতি হাতে ছিল এক একটি করে অস্ত্র। ঠিক সে মূর্তিতেই হিন্দুরা দুর্গাদেবীকে তৈরি করেন। তার এই মূর্তি একটি হিংহ মূর্তির উপর স্থাপিত। পদতলে থাকে অস্ত্রবিদ্ধ মহিষাসুর। দেবীর ডান পাশে থাকে লক্ষ্মী আর গণেশ এবং বাম পাশে থাকেন সরস্বতী ও দেব সেনাপতি কার্তিক।  পূজা : প্রতিবছর শরৎকালে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়। আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠি তিথিতে বোধন করা হয় দুর্গার। সে তিথিতে প্রসাদ বিতরণ করা হয়, দরিদ্রগণকে সাহায্য দেওয়া হয় এবং উৎসবের অন্ত থাকে না। রাত্রিতে দেবীর আরতি হয়; ঢাকঢোলের আওয়াজে কর্ণ বধির হয়ে পড়ে।  বিসর্জন : যথারীতি পূজা করার পর হিন্দুরা তাদের দেবীকে দশমী তিথিতে বিসর্জন দেন। সেদিন ধর্মনিষ্ঠ হিন্দুর চোখ অশ্রুসজল হয়ে পড়ে। পুরুষ-নারী ধূপ, দীপ, পাখা ইত্যাদির দ্বারা দেবীকে বিদায় প্রদান করেন। ভক্তহিন্দুরা দেবী মূর্তিকে শোভাযাত্রা সহকারে নিকটবর্তী কোন জলাশয় বা নদীতে নিয়ে বিসর্জন করেন। এই বিজয়া দশমীতে হিন্দুরা পরস্পর কোলাকুলি ও প্রীতি বিনিময় করেন। 

উপসংহার :

বাংলাদেশের হিন্দুরা এই উৎসবে আনন্দে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেন। বাংলাদেশ সরকার হিন্দুদের এই পূজা যাতে সুচারুরূপে সম্পন্ন হতে পারে সেজন্য সর্বপ্রকার সাহায্য করেন। আরো দেখুন : রচনা : ঈদ উৎসব রচনা : বাংলাদেশের ষড়ঋতু রচনা : বাংলাদেশের বসন্তকাল রচনা : শরতে-হেমন্তে বাংলাদেশ রচনা : শরৎকাল রচনা : শীতের সকাল Composition : Durga Puja Composition : Eid Festival Composition : Seasons of Bangladesh Composition : The Season You Like Most
দুর্গাপূজা রচনা pdf

দুর্গাপূজা pdf download করুন

  • বাংলা প্রবন্ধ রচনা/অনুচ্ছেদের নামঃ দুর্গাপূজা,
  • ফাইল ফরম্যাটঃ pdf download(পিডিএফ ডাঊনলোড),
  • ক্যাটাগরিঃ Bangla Rochona pdf(Rachona),
  • ধরুন- পয়েন্ট আকারে রচনা,
  • Total word: 200, 300, 400, 500, 800, 1000, 1500 শব্দ,
  • ক্লাসঃ class 6, 7, 8 ,9 10, 11, 12,
  • Psc(প্রাইমারি স্কুল), JSC(হাই স্কুল), SSC(এস এস সি), HSC(এইচ এস সি), fazil(ফাজিল), kamil(কামিল) hons, degree
এই বাংলা রচনার pdf পেতে এখানে দেখতে পারেন।


FAQ About দুর্গাপূজা

Question1: রচনাটির কেমন?
Answer1: দুর্গাপূজা রচনাটি পড়লে SSC,HSC ছাত্র যেকারো অনেক জ্ঞান বাড়বে।


Question2: দুর্গাপূজা এর পিডিএফ কি এখানে পাওয়া যাবে?

Answer2: জি, দুর্গাপূজা রচনাটি PDF সহ সম্পুর্ন এখানে পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button