ইসলামি আকিদা আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর Pdf Download
প্রিয় বন্ধুদের জন্য আজকে ইসলামি আকিদা আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর Pdf Download link নিয়ে আজকে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি. তবে মূল লিঙ্ক পেতে কিছুদিন সময় লাগবে।
ঈমান ও তাওহীদের ক্ষেত্রে মুমিনগণ সকলেই সমান । কর্মের ক্ষেত্রে তাদের মর্যাদার বৃদ্ধি ঘটে । ইসলাম অর্থ আল্লাহর নির্দেশের জন্য আত্মসমর্পন করা এবং অনুগত হওয়া । আভিধানিকভাবে ঈমান ও ইসলামের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। তবে বাস্তবে ও ব্যবহারে ইসলাম ছাড়া কোনো ঈমান হয় না এবং ঈমান ছাড়া ইসলামের অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। কাজেই ঈমান ও ইসলাম হলো পিঠের সাথে পেটের ন্যায় । ঈমান, ইসলাম ও সমস্ত শরীয়তকে একত্রে দীন বলা হয় ।
বিভক্তি ও ফিরকাসমূহের আলোচনায় আমরা দেখব যে, ঈমান ও আমলের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ ছিল বিভক্তির কারণগুলির অন্যতম । খারিজীগণ ও তাদের সমমনা ফিরকাগুলি আমল বা ইসলামের বিধান মত কর্ম করাকে ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে গণ্য করেছে। ফলে বিধান পালনের বিচ্যুতি তাদের মতে ঈমানের বিচ্যুতি বা কুফর বলে গণ্য ।
অপরদিকে মুরজিয়াগণ ঈমানকে আল্লাহর নির্দেশ পালন বা ইসলামের বিধিবিধান পালন থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করেছে । তাদের মতে কোনোরূপ ইসলাম পালন ছাড়াই_ঈমানের চূড়ান্ত পূর্ণতায় পৌছানো সম্ভব। তারা পাপী মুসলিমকে পরিপূর্ণ ঈমানদার. ও নিশ্চিত জান্নাতী বলে গণ্য করেছে। উভয় মতের মধ্যে আহলুস সুন্নাত ওয়াল ‘জামা’আতের অনুসারীগণ বিশ্বাস করেন যে, পাপী মুমিন কাফির নন, আবার ঈমানের পূর্ণতাও তিনি লাভ করেন নি । তবে এ বিশ্বাসের ব্যাখ্যায় আহলুস সুন্নাতের ইমামগণের পারিভাষিক সংজ্ঞার মধ্যে সামান্য কিছু পার্থক্য রয়েছে । এ ক্ষেত্রে তাদের দুটি মত রয়েছে। (১) ইমাম আবৃ হানীফা (রাহ) ও অন্যান্য কোনো কোনো ইমামের মতে আমল বা বিধান পালন ঈমানের অংশ নয়, বরং ঈমানের দাবি ও সম্পূরক | তাদের মতে ঈমান হলো অন্তরের বিশ্বাস ও মুখে সে বিশ্বাসের স্বীকৃতির নাম । তাদের মতে বিষয়বস্তুর দিক থেকে স্বীকৃতি বেশি কম হয় না বা ঈমানের হ্রাসবৃদ্ধি হয় না, তবে বিশ্বাসের গভীরতার দিক দিয়ে হাসবৃদ্ধি হয় । (২) অন্য তিন ইমাম ও মুহাদ্দিসগণ বলেন যে, আমল বা কর্ম ঈমানের অংশ, তবে মনের বিশ্বাস বা মুখের স্বীকৃতির মত অংশ নয়, বরং দ্বিতীয় পর্যায়ের অংশ । এজন্য তাদের মতে কর্মের অনুপস্থিতি ছারা ঈমানের অনুপস্থিতি প্রমাণিত হয় না, তবে দুর্বলতা ও কমতি প্রমাণিত হয়। তার বলেন ঈমান হলো অন্তরের বিশ্বাস, মুখের স্বীকৃতি ও দেহের কর্ম । এদের মতে কর্মের কারণে ঈমানের-হাস-বৃদ্ধি হয় ।
প্রথম অধ্যায় : পরিচিতি, উৎস ও গুরুত্ব ২৬ এ দু মতের মধ্যে শব্দ প্রয়োগে যতই পার্থক্য থাক না কেন, মূল বিশ্বাসে কোনো পার্থক্য নেই । কারণ উভয় মতের অনুসারিগণই একমত যে, (১) ঈমান ও আমল দুটিই আন্মাহর নির্দেশ এবং বান্দাকে দুটিই অর্জন করতে হবে । ঈমান বিহীন ইসলাম বা ইসলাম বিহীন ঈমান অকল্পনীয় । (২) কর্মের ক্রটির কারণে বা কবীরা গোনাহের কারণে বান্দা কাফির হয় না, তবে আল্লাহর শাস্তির যোগ্য হবে । ১.১. ২, আল-ফিকহুল আকবার ইমাম আবু হানীফা (রাহ) আকীদা বিষয়ে রচিত তীর প্রসিদ্ধ গরস্থটির নাম রেখেছেন ‘আল-ফিকহুল আকবার” । সম্ভবত “আকীদা” বুঝাতে এটিই প্রাচীনতম পরিভাষা | “ফিক্হ’ শব্দটি কুরআন ও হাদীসে বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ ।
কুরআন হাদীসের আলোকে ইসলামী বিধিবিধানে গভীর জ্ঞান ও প্রজ্ঞাকে ফিকহ বলা হয়। কুরআন ও সুন্নাহের আলোকে বিশ্বাসের বিষয়ে গভীর জ্ঞান ও প্রজ্ঞা অর্জনের গুরুত্ব বুঝাতেই সম্ভবত তিনি এ বিষয়ক জ্ঞানকেনআকবার’ বা “শ্রেষ্ঠতর জ্ঞান” বা “মহোত্তর জ্ঞান’ বলে অভিহিত করেন । ১.১. ৩. ইলমুত তাওহীদ ইসলামী ঈমান বা বিশ্বাসকে অনেক সময় “তাওহীদ” বলে আখ্যায়িত করা হয় এবং এ বিষয়ক জ্ঞানকে “ইলমুত তাওহীদ” বা তাওহীদের জ্ঞান বলা হয় । ইমাম আবু হানীফা (রাহ) আল-ফিকহুল আকবার গ্রন্থে ইলমুল আকীদা’-কে “ইলমুত তাওহীদ” নামে অভিহিত করেছেন । পরবর্তী অধ্যায়ে আমরা দেখব যে, তাওহীদ বা আল্লাহর একত্বই ইসলামী ঈমান বা আকীদার মূল ভিত্তি। ঈমানের অন্য সকল বিষয় তাওহীদের সাথে জড়িত ও তাওহীদেরই অংশ | এজন্যই ইমাম আবু হানীফা (রাহ) ইলমুল আকীদা বুঝাতে ইলমুত তাওহীদ পরিভাষা ব্যবহার করেছেন । এ পরিভাষাটিও দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শতকে বিশেষ পরিচিত লাভ করে । এ নামে আকীদা বিষয়ক কিছু গ্রন্থ রচনা করা হয়। এগুলির মধ্যে রয়েছে চতুর্থ হিজরী শতকের প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস আবূ বাক্র মুহাম্মাদ ইবনু খুযাইমা (৩১১ হি) রচিত “কিতাবুত তাওহীদ” এবং অষ্টম হিজরী শতকের প্রসিদ্ধ আলিম আব্দুর রাহমান ইবনু আহমদ ইবনু রাজাব হাম্বালী (৭৯৫ হি) রচিত “কিতাবুত তাওহীদ’ । আস-সুন্নাহ তৃতীয় হিজরী শতক থেকে ধর্ম-বিশ্বাস ও এ বিষয়ক মূলনীতিসমূহ বুঝাতে সাহায্য করবে.
ডাউনলোড লিংক-