বই রিভিউ ও ডাউনলোড
ইতি তোমার মা আলোচনা, গল্পের বিষয়বস্তু
Book | ইতি তোমার মা |
Author | সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় |
Publisher | আনন্দ পাবলিশার্স (ভারত) |
ISBN | 817066103x |
Edition | 14th Edition, 2014 |
Number of Pages | 118 |
Country | ভারত |
Language | বাংলা |
Book Review:
মায়ের প্রতি ভালবাসা আমাদের অবিরাম। লেখক এই বইটিতে অত্যন্ত সাবলীল ভাবে একটি পরিবার কে ফুটিয়ে তুলেছেন।একটি পরিবারের আর্দশ,আত্নসম্মান,শিক্ষা,অহিংসা এবং মানুষের প্রতি চরম মততা বোধের বহিঃ প্রকাশের সব কিছুই লেখক অত্যন্ত সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। এই বইটিতে মেইন কেরেক্টারে রোল প্লে করেছেন
বুড়া নামের একটি বালক এবং তার বাবা মা,তাদের পোষা কুকুর পিংকা ও পোষা বিড়াল পুশ। মা পরম মমতায় পিংকা এবং পুশ কে লালন পালন করেন।বুড়া অত্যন্ত মেধাবী,সৎ এবং বুদ্ধিমান একটা ছেলে।বুড়ার বাবা একজন সরকারী কর্মকতা।তিনি অত্যন্ত সৎ এবং খোলা মনের একজন মানুষ।বুড়া যে স্কুলে পড়ে ঐ স্কুলে শ্যামল নামে একটা ছেলে পড়ে।
শ্যামল হলো বড়লোক বাপের বকে যাওয়া বাদর ছেলে।শ্যামলের বাবা দুই নম্বরি কারবার করে বড়লোক হয়েছে।তিনি নকল ঔষদের কারবার করে।একদিন শ্যামল শ্যামল বুড়া কে ধাক্কা দিয়ে নাক এবং ঠোট ফাটিয়ে দেয়।বুড়া ঐ দিন শ্যামল কে জবাব দিতে পারে নাই। কারন শ্যামল ছিল নাদুস নুদুস। বড়লোক বাপের ছেলে তো তাই ভালমন্দ খাই, গায়ে তাই অনেক শক্তি।কিন্তু বুড়া মনে মনে ঠিক করে সে একদিন শ্যামল কে উচিত শিক্ষা দিবে।তদুপুরি বুড়া বিশু দার কাছ থেকে ক্যারাত শিখতে থাকে,জবাবের অপেক্ষায় থাকে।এর মধ্য বুড়া মায়ের হঠাৎ দাতে ব্যাথা শুরু হয়।কিন্তু ব্যাথা কিছুতেই ঠিক হয় না। পরে বুড়ার মায়ের দাত তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়।
পরের দিন, বুড়ার সাথে শ্যামলের পাড়ার মোড়ে দেখা হয়।শ্যামল বুড়ার সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ের খুর নিয়ে বুড়ার দিকে তেড়ে আসে,বুড়া উপায় অন্তর না পেয়ে নিজের আত্ন রক্ষার জন্য ক্যারাতের টেকনিক খাটায় শ্যামলের উপর, তখন শ্যামল নিজের খুরে নিজেই আহত হয়।পরে বুড়ো দৌড়ে বাড়ির দিকে যায়।বাড়িতে গিয়ে বাবা মা কে না পেয়ে জানতে পারে বাবা মা কে নিয়ে দাত উঠাতে গেছে।বুড়ার আগেই জানা ছিল তার মায়ের কোথায় দাত উঠাতে গেছে,তাই বুড়ো ডাক্তারে চেম্বারে দিকে রওনা হল।কিন্তু পথে মধ্য শ্যামলের বাবা বুড়া কে পুলিশ দিয়ে এরেস্ট করিয়ে থানায় নিয়ে গেল।বুড়ো বাবা মা থানায় এসে লোকজন ধরে বুড়া কে জামিন করিয়ে বাড়িতে নিয়ে গেল।কিন্তু বুড়ার মার অবস্থা রাতে খারাপ হতে লাগল।বুড়ার মায়ের চোখ মুখ ফুলে গেছে।বাড়ির সবাই অনেক চিন্তায়।সকালে ডাক্তার বাবু বাড়িতে এসে বুড়ার মায়ের রক্ত পরিক্ষা দিয়ে যায়। পর দিন বুড়োর আবার কোর্টে হাজিরা দিতে হয়।আবার এক সপ্তাহ পর মামলার শুনানির দিন হয়।
কোর্ট থেকে বুড়া আর বুড়ার বাবা ডাক্তারে চেম্বারে রক্তের রিপোর্ট আনতে যায়।বুড়ারা ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকলে ডাক্তার তার মায়ের রিপোর্ট খুজে বের করে দেখে যা বলে তা মেনে নোওয়া টা ছিল বুড়াদের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত, ডাক্তার বলে সর্বনাশ ব্লাড ক্যান্সার। বুড়া আর বুড়ার বাবা কান্নায় ভেংগে পড়েন। তারা বাড়িতে ফেরেন।বুড়ার মায়ের অবস্থা দিন দিন খারাব হতে থাকে। ঐ দিন ই বুড়ার হাজিরা থাকে।শ্যামলের বাবা সব মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে প্রমান করে যে বুড়া তার ছেলে কে খুর দিয়ে পোচ মেরেছে,বুড়া সমাজের জন্য বিপদজনক। বুড়ার শাস্তি হওয়া উচিত।বুড়ার জেল হবে,জজ সাহেব রায় দিবে এমন সময় শ্যামল আদালত কে বলে আমার কিছু বলার আছে।সে কাঠ গড়ায় দাঁড়িয়ে সব সত্য খুলে বলে।জজ সাহের বুড়া কে বেখচুর খালাস দেন।শ্যামলের বাবা শ্যামল রেখে গাড়ি নিয়ে চলে যান।বুড়া আর বুড়ার বাবা তাড়াতাড়ি কোর্ট থেকে বেরিয়ে বাড়ির দিকে রওনা দেন মাকে খবর টা দোওয়ার জন্য।কিন্ত বাসায় আসে জানতে পারে তার মা পরলোক গমন করেছেন।যেখান থেকে কেউ চাইলেও ফিরতে পারে না।