আমার প্রিয় শিক্ষক রচনা
ভূমিকাঃ
————-
শিক্ষা জীবনে শিক্ষকের অবদান অনস্বীকার্য।বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের শিক্ষাদান সবার মানসপটে কম বেশী দাগ কেটে থাকে। আমার স্কুল জীবনে ও তেমনি সকল শিক্ষককে আমি ভালোবাসি।মা বাবার পরেই শিক্ষকের স্থান।মা বাবা আমাদেরকে জন্ম দিয়ে লালন পালন করেন। তেমনি শিক্ষকগণ ও আমাদের লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করেন।কবির ভাষায় বলতে হয়,”মানব শিশু জন্ম নিলেই মানুষ কি আর হয়?মানব শিশু মানুষ করে মোদের বিদ্যালয়।” বিদ্যালয়ে আমাদের মানুষ করেন যারা তারাই শিক্ষক।আর এ শিক্ষকগণের মধ্যে কেউ কেউ তাদের কর্মকান্ড দিয়ে আমাদের প্রিয় হয়ে উঠেন।তেমনি আমার ও একজন খুবই প্রিয় শিক্ষক আছেন।
আমার প্রিয় শিক্ষকঃ আমার প্রিয় শিক্ষকের নাম আমান উল্লাহ রুবেল।তিনি জি এম হাট শিশু একাডেমীর শিক্ষক ছিলেন।তার বাড়ি জি এম হাট ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামে।আমাদের বাড়ির কাছাকাছি তাদের বাড়ি।তিনি সম্পর্কে আমার কাকা হন।
প্রথম সাক্ষাৎঃ
———————
আমার আম্মু ফরিদা আখ্তার মায়া জি এম হাট শিশু একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন।প্রতিদিন খুব সকালে আমাদের দুবোনকে নিয়ে স্কুলে চলে আসতেন।বাসায় ও সারা পথে আম্মু আমাদের খুব আদর করতেন।কিন্তু উনি স্কুলের গেইট দিয়ে ঢুকেই আমাদের হাত ছেড়ে দিয়ে অন্য এক মানুষ হয়ে যেতেন।তিনি তখন আমাদের বড় ম্যাডাম।অন্য শিক্ষার্থীরা আম্মুর কাছে ঘুরলে ও আমরা ভয়ে কাছে যেতামনা।আমাদের দায়িত্বশীল মাকে দেখে মনেই হতোনা উনি আমাদের আম্মু।আমরা ও ভয়ে ভয়ে থাকতাম।কোন কিছু দরকার পড়লে আফরোজা আন্টি(পিয়নের মাধ্যমে) খবর পাঠাতাম আম্মুর কাছে।আম্মুর এমনই নির্দেশ ছিল।
সকাল আটটায় শুরু হতো আমাদের এসেম্বলী ক্লাস।সেদিনও এসেম্বলী ক্লাস যথাসময়ে শুরু হয়।আর ক্লাস পরিচালনা করছিলেন ফর্সা,লম্বা,চিপচিপে গঠণের একজন শিক্ষক।তিনি গতকাল স্কুলে যোগদান করেছেন।আমি তখনও তার নাম জানিনা।এসেম্বলী ক্লাস শুরুর আগে স্যার মুখে বাঁশি নিয়ে হুইশেল বাজালে সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে যেতো।আমি একপাশে দাঁড়িয়ে থাকতাম।আমি আম্মুর আদর পেতে চাইতাম।আমার আম্মু(বড় ম্যাডাম) বেরিয়ে এসে সবাইকে আদর করতেন।তিনি সবার প্রিয় বড় ম্যাডাম।সবাইকে উনি কতো আদর করেন।কিন্তু আমার কাছে এসে,”মুনতাসির এসেম্বলিতে যাও”। যেন উনি আমায় চিনেনই না।আমার কষ্ট হতো।ঠিক তখনই রুবেল স্যার আমায় কোলে তুলে লাইনে দাঁড় করিয়ে দিলেন।এর পর থেকে বেশ কয়েকদিন তিনি এমন করলেন।পরে আমায় উনি ডাকলেই আমি চলে যেতাম।আমাদের স্কুলে একটি৷ কাবদল ছিল।কাব দলের দলনেতা ছিল আমার আপু কনা।রুবেল স্যার আমাদের পি.টি করাতেন।পি.টি শেষে জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন,শপথবাক্য,জাতীয় সংগীত সব তিনি পরিচালনা করতেন।আমি তখন নার্সারীর ছাত্রী।রুবেল স্যারের স্নেহ পেয়ে আমার তাকে আইডল মনে হতো।
আস্তে আস্তে আমি বড় হতে থাকি।আর রুবেল স্যার আমার প্রিয় হয়ে উঠতে থাকে।
কেন প্রিয় শিক্ষকঃ
————————–
আমি তখন তৃতিয় শ্রেণিতে পড়ি।গণিত বিষয়টি আমার খুব কঠিণ মনে হতো।রুবেল স্যার আমাদের গণিত ক্লাস নিতেন।তিনি খুব সুন্দর করে যোগ, বিয়োগ,গুণ,ভাগ বুঝিয়ে দিতেন যে আমার কাছে কঠিণ বিষয়টি খুব সহজ হয়ে উঠলো।গাণিতিক সমস্যা,জ্যামিতি সব কিছুই উনি এত সহজে বুঝাতেন যে আমি গণিতে খুব ভালো ফলাফল করতে শুরু করি।আলহামদুলিল্লাহ,তার ধারাবাহিকতা আজও বজায় আছে।তিনি কখনই ক্লাসে আমাদের সাথে রাগারাগি করতেন না এবং কোন শাস্তি দিতেন না।মাঝে মাঝে গল্প শোনাতেন।কখনো কখনো যুধিষ্ঠির স্যার,শিমুল স্যারসহ গানও।শিমুল স্যার দরাজ গলায় গাইতেন।বিশেষ করে,” যদি রাত পোহালেই শোনা যেতো বঙ্গবন্ধু মরে নাই,যদি রাজপথে আবার মিছিল হতো বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চাই”।এ গানটি গাইতেন। যুধিষ্ঠির স্যার,সুলতানা ম্যাডামের কণ্ঠ ও খুব ভালো ছিল।আল মাহমুদ স্যার গাইতেন ইসলামী সংগীত। উনারা প্রতি বৃহষ্পতিবার সম্মিলিত কণ্ঠে গেয়ে আমাদের শেখাতেন। এসবের নেতৃত্ব দিতেন রুবেল স্যার।তার মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী ছিল।তার হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় দৃঢ়তার চাপ।কঠিণ কোমলে মিশে একাকার।এই মানুষটি ক্লাস শেষ করে আমায় হাত ধরে নিয়ে গিয়ে কত যে সৈয়দ কালা মিয়া জেঠুর দোকানে সিঙ্গারা খাইয়েছেন তার হিসেব নেই।সেখানে তিনি আমায় খাওয়ানোর সময় বার বার জিজ্ঞেস করতেন কাকা আর কি খাইবা।কিন্তু স্কুলে কখনই এ শব্দটি উচ্চারণ করতেন না।তিনি ঘরে বাইরে আলাদা মানুষ ঠিক আমার আম্মুর মতো।তার এই দ্বৈত সত্বাটি আমার ছোট্ট মনে দাগ কাটে।আর তিনি আস্তে আস্তে আমার প্রিয় শিক্ষক হয়ে উঠেন।(যদিও তখন এত কিছু বুঝতামনা,তার স্নেহই তাকে আমার প্রিয় শিক্ষকের তালিকায় নিয়ে আসে)।
স্মরণীয় ঘটনাঃ
———————
একবার স্কুলে টিকা দিচ্ছিল।আমি,সানজিদা,প্রিতম পালিয়ে মিজান ভাইয়াদের ঘরের পিছনে লুকিয়ে যাই।আম্মু টিকার কর্মসূচী তদারকিতে ব্যস্ত ছিলেন।আফরোজা আন্টি পানি আনার জন্য পিছনের গেইট খুললে আমরা উনার পেছন দিয়ে বেরিয়ে পড়ি।এমনিতে ঐ গেইটটা সার্বক্ষণিক বন্ধ থাকতো।প্রায় সবার টিকা দেয়া হয়ে গেলে আম্মু আমাদের টিকা দিতে ডাকেন।কিন্তু আমার আপুকে খুঁজে পেলেও আমাদের খুঁজে পায়না।আম্মও স্যার ম্যাডামরা সবাই খুঁজছে।আম্মু ভয়ে কান্না করে দেয় কারণ পেছনে ভরা পুকুর।তখন বর্ষাকাল ছিল।পরে বৃষ্টি শুরু হলে ভিজে যাওয়ার ভয়ে বেরিয়ে আসি।আম্মু খুব রেগে আমায় শাস্তি দিতে যান।ঠিক তখনউ রুবেল স্যার এসে দ্রুত আমায় কোলে নিয়ে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে গল্প বলতে থাকেন।এই ফাঁকে টিকাটি দেয়া হয়ে যায় আর তখন উনি হেসে উঠে বলেন, মুনতাসিরকে পিঁপড়ায় কামড় দিয়েছে।উনার ভালোবাসা আর আদর আমাকে টিকার ভয়কে জয় করে দিয়েছিল।আমি শাস্তির হাত থেকেও বেঁচে যাই।আমি তখন দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
প্রতি বছর ঈদের দিন আমরা ঈদগাহ থেকে আসার সময় রুবেল স্যার,সুমনা ম্যাডামদের বাড়ি যেতাম।সালামী পাবার লোভে।সুমনা ম্যাডাম প্রত্যেক বছর ১০০ টাকার কড়কড়ে দুটো নোট দিতেন,পথে শিমুল স্যারের সাথে দেখা হলে ২০ টাকার দুটো নোট।এর পর রুবেল স্যার বিশ টাকার দুটো নোট দিতেন।
সেবার আমি ক্লাস ফোরে পড়ি,যথারীতি সব বাড়ি ঘুরে রুবেল স্যারের বাড়ি গেলাম।কিন্তু স্যার নেই মন খারাপ।সালামি পাবোনা।টাকাগুলো হিসাব করা ছিল,বাড়ি থেকেবের হতেই স্যারের সাথে দেখা।পা ছুঁয়ে সালাম।মনে মনে সালামী।
হঠাৎ স্যার বলে উঠলেন কাকার কাছে তো টাকা নেই।দূর! মনে মনে হতাশ! বাড়ির দিকে হাঁটছি।
মুনতাছির! ঘুরে দাঁড়াতেই পুরনো দুটো দশ টাকার নোট।আমরা হাত বাড়িয়ে নিলাম।খুশিতে।
এ টাকাগুলো উনি মানিব্যাগ থেকে বের করেছিলেন।হয়তো মনের অজান্তে কখনো জমা পড়েছিল।প্রিয় ছাত্রীদের ঈদের খুশি সে টাকায় কিনেছিলেন।ঈদ আসে বাড়িতে যাই।রুবেল স্যারের সাথে ওভাবে দেখা হয়না।কিন্তু আমার মনে আজও সেই দশ টাকার পুরণো নোট দুটো চক চক করে।
রুবেল স্যার ও ইলিয়াছ স্যারের নেতৃত্বে আমাদের স্কুলে আমরা বাল্য বিবাহ বন্ধের উপর একটি নাটিকা করেছিলাম।নাটিকাটির গল্প আমার আম্মুর লেখা,নাট্যরূপ ও আম্মু দিয়েছিলেন।আমরা এ নাটিকাটি মাস্টার নুরুল হক স্মৃতি ফাউন্ডেশানের প্রতিযোগীতায়(প্রয়াত শ্রদ্ধেয় একরামুল হক একরাম চেয়ারম্যানের বাবার নামে) উপস্থাপন করে প্রথম পুরস্কার অর্জন করেছিলাম রুবেল স্যারের হাত ধরে।
উপসংহারঃ
—————-
রুবেল স্যার এখন আর শিক্ষকতা করেন না।তার কর্মস্থল জি.এম হাট শিশু একাডেমী ও ঝড়ের কবলে পড়ে কালের গর্ভে হয়তো একদিন বিলীন হয়ে যাবে।কিন্তু এ জাতির জীবনে রুবেল স্যারদের মতো শিক্ষকদের খুব প্রয়োজন।যারা নিজেদের বিলিয়ে গড়েন স্বপ্নের ইমারত।শেখান শৌখিন জীবনের মারপ্যাঁচে মাথা উঁচু কর চলার মূলমন্ত্র।আমার শ্রদ্ধার আসনে বেঁচে থাকবেন যুগ থেকে যুগান্তর আমার রুবল স্যার।
ফাহিম মুনতাসির তন্নী ( শিশু সাংবাদিক)
প্রাপ্তন ছাত্রী জি.এম.হাট.শিশু একাডেমি
#প্রাণের_জি_এম_হাট_রচনা_প্রতিযোগিতা
°~°~°আমার প্রিয় শিক্ষক° ~°~°
ভূমিকা :
শিক্ষাদানের মহান ব্রত যার কাজ তাকেই শিক্ষক বলে। শিক্ষা হচ্ছে অত্যন্ত মহৎ পেশা। একজন শিক্ষক হচ্ছে একজন ছাত্রের জীবন গড়ার কারিগর। কেউ যদি আমাকে প্রশ্ন করে,বলে তোমার প্রিয় ব্যক্তি বা বস্তু কি, তখন কাকে ছেড়ে কাকে বলবো বুঝতে পারি না , কিন্তু যখন বলা হয় তোমার প্রিয় শিক্ষক কে তখন একজনের নাম প্রথমে আসে তিনি হলেন হাফেজ হযরত মাওলানা আবু হানিফা সাহেব হুজুর। প্রিয় শিক্ষক হতে হলে একজন শিক্ষকের যতগুলো গুণ থাকা লাগে তার সবগুলো গুণই আমি ওনার মধ্যে পেয়েছি । আমি আমাদের গ্রামের একটি মাদ্রাসার পড়া লেখা করেছি। জীবনে অনেক শিক্ষকের কাছে জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ। তারা সবাই আমার প্রিয় শিক্ষক ছিলেন, তাদের মধ্যে একজন আমার প্রিয় শিক্ষক হচ্ছেন হাফেজ হযরত মাওলানা আবু হানিফা সাহেব তাকে নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করবো।
আমার প্রিয় শিক্ষক :
পূর্ব বশিক পুর বকশি শাহ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সম্মানিত সুপার হচ্ছেন আমার শ্রদ্ধেয় ওস্তাদ হাফেজ হযরত মাওলানা আবু হানিফা সাহেব, আমার এ ছোট্ট জীবনে অনেক শিক্ষক এর সাথে দেখা হয়েছে তাদের থেকে জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারি নাই এতোটা জ্ঞান অর্জন করতে। একজন ছাত্রের কাছে তার প্রিয় একজন শিক্ষক হওয়ার অনেক গুলো কারণ থাকে। তিনি আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন যে, কোন কিছুকে ভয় পেলে, কোন জ্ঞান অর্জন করা যায় না, এবং হুজুর আমাদের কে সব সময় একটা কথা বলতেন, “ভালো হতে টাকা পয়সা লাগে না”। আজও তার কথা গুলা মনে পড়ে।
প্রথম সাক্ষাৎ :
২০০৪ সালে যখন জন্ম হয় তখন থেকে হুজুর আমার নাম রেখে ছিলেন,আর নাম দিয়েছেন মনিরুল ইসলাম। তখন থেকেই আমাকে চিনেন। হুজুর ছিলেন আমার জেঠা তাই তার সাথে আমার জন্মের পর থেকেই দেখা এবং ছোট থেকে ছিনেন। যখন মাদ্রাসায় ভর্তি ২০১৫ সালে তখন থেকে তিনি আমাকে আরো ভালো করে চিনতে লাগলেন। এটাই হুজুর এর সাথে আমার সাক্ষাৎ।
কেন আমার প্রিয় :
তিনি শুধু আমার প্রিয় শিক্ষক ছিলেন না। তিনি পুরা মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীর প্রিয় শিক্ষক ছিলেন। তিনি আমাকে পড়া লেখা দিক দিয়ে অনেক সাহায্য করেছেন। আমি যেখান দিয়ে বুঝতাম না তিনি আমাকে ভালো করে বুঝিয়ে দিতেন। তিনি আমাকে অনেক আদর করতেন এবং মারতেন। একজন ছাত্রের কাছে তার সকল শিক্ষক শিক্ষকা তার মা-বাবার মতো হয়। এটা আমরা সবাই জানি। তিনি আমার প্রিয় শিক্ষক হওয়ার কারণ আমার কোন ধরনের সমস্যা হলে তাঁর কাছে গিয়ে বলতাম,তিনি সাথে সাথে আমার সমস্যা সমাধান করে দিতেন, তার কাছে আমি শিক্ষা অর্জন করতে পেরে আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি।এবং তাকে আমি আমার প্রিয় শিক্ষকদের একজন মনে করি।
কবির ভাষায় বলি –
হে প্রিয় শিক্ষক,
কি করে চলবো সমানের পথ,
কেমনি চলিব একা একা।
জীবন নামের রেলগাড়ী
চলছেতো আকাঁ বাকা ।
একটি স্বরণীয় ঘটনা :
আমার সাথে হুজুর এর স্বরণীয় ঘটনা হচ্ছে। ২০১৮ সালে অষ্টম শ্রেণিতে থাকতে একদিন বিরতির সময় নামাজ পড়ে এসে নাস্তা করে বসে আছি। হঠাৎ করে দেখি সবাই মাদ্রাসার ছাঁদ থেকে লাপ দিতেছে। আমি দেখতে লাগলাম মনে মনে চিন্তা করলাম আমিও একটা লাপ দিয়ে আসি ওদের সাথে। আমিও গেলাম গিয়ে তাদের সাথে সাথে বলুর উপর লাপ দিলাম।তারপর বিরতির সময় শেষ হয়ে যায় , ক্লাসে গেলাম। মেডাম আসলেন এসে আমাদের থেকে পড়া নিচ্ছেন, এর মাঝে হুজুর আসলেন , সাথে একটা বেত নিয়ে আসলেন যারা যারা লাপ দিয়েছে সবাইকে একসাথে করলেন। একসাথ করে সবাইকে মারে, এবং কেন লাপ দিছি জিজ্ঞেস করে, আমাকেও মারে কিন্তু সবার থেকে বেশি আমাকে মারে । তারপরে এসে সবাইকে ঔষুধ লাগিয়ে দিয়ে যায়।হুজুর কোন এক দিন বলেছিলেন “লেগে থাক সৎভাবে স্বপ্নজয় তোমারিই হবে। আমার কাছে ওই দিনটা স্বরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে ।
উপসংহার :
যাদের শ্রদ্ধা করে মন আনন্দিত হয়, তারা হলেন শিক্ষক। পৃথিবীতে মা-বাবার পর যদি কেউ আমার ভালো চায় সে হলো আমার প্রিয় শিক্ষকবৃন্দ। একজন শিক্ষক, শিক্ষাকতা করলে আদর্শ শিক্ষক হয় না শিক্ষক হতে গেলে আদর্শ লাগে,লাগে শিক্ষার্থীদের প্রতি ভালোবাসা। যা তার কাছে ছিল। আমাদের প্রত্যাকের বিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষক থাকেন। তারা সকলে আমাদের শিক্ষাদানের মধ্যে দিয়ে জীবনে সঠিক পথে চলার সহায়তা ভূমিকা রাখেন।
তার মধ্যে তিনি একজন। সকল শিক্ষকই আমাদের কাছে সমান শ্রদ্ধেয়। যাদের ঋণ কখনো শোধ করা যাবে না। যাদের কখনো ভুলা যাবে না। সর্বোপরি তিনিই আমার জীবনের একজন প্রিয় শিক্ষক।
হে প্রিয় শিক্ষক,
কেমনে দিব বাকি শিক্ষা জীবন পাড়ি,
আমি যে আপনাদের ছাড়া, হয়ে গেছি আনাড়ি।