বাংলা রচনা বই PDF কালেকশন - Bangla Rochona for class 5, 6,7,8,9,10

সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রচনা (পয়েন্ট আকারে ৮০০ শব্দ) for All Class

২০০-৩০০, ৫০০, ৮০০, ১০০০ শব্দ পয়েন্ট আকারে সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রচনা pdf আকারে সম্পূর্ন এখানে পাবেন। আশাকরি, ৫ম, ৬ষ্ঠ, তম, ৮ম, ৯ম, ১০ম শ্রেণি ও JSC, SSC, HSC রচনা প্রতিযোগিতায় ভাল ফলাফল পেতে ও বিজয় পেতে এই সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি Bangla Rochona পিডিএফ ডাউনলোড করার মাধ্যমে এই পোস্ট আপনাকে হেল্প করবে।

Contents

সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রচনা বিস্তারিত

সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রচনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ

ভূমিকা + বর্ণনা :

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি একটি জাতির সার্বিক উন্নতির চাবিকাঠি। একটি দেশে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে একটি দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যায়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ব্যতীত কোনো দেশের অগ্রগতি সম্ভব নয়। জাতীয় অর্থনীতি এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্যও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অপরিহার্য।সাম্প্রদায়িকতা : মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা না করে ধর্ম, বর্ণ ও জাতি-গোত্র ইত্যাদি দিয়ে পার্থক্য করে দেখাই সাম্প্রদায়িকতা। সাম্প্রদায়িকতা হচ্ছে এক গোত্র, বর্ণ ও জাতির ওপর অন্য গোত্র, বর্ণ ও জাতির আধিপত্যের লড়াই। সমাজবদ্ধ মানুষ নানা ধর্ম-সম্প্রদায়ে বিভক্ত। কিন্তু ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতা এক নয়। পৃথিবীর সকল ধর্মের মূলকথা- প্রেম, মৈত্রী, শান্তি ও সম্প্রীতি। এ শিক্ষা থেকে সরে এসে এক সম্প্রদায়ের প্রতি অন্য সম্প্রদায়ের বিদ্বেষ বা আক্রোশই সাম্প্রদায়িকতা। বহুত্ববাদী সমাজ ব্যবস্থায় একটি জনসম্প্রদায় নিজেদের অভিন্ন পরিচয় অভিব্যক্তির জন্য রাজনীতির ক্ষেত্রে দৃঢ়তার সঙ্গে নিজেদের জাহির করতে উদ্যোগী হয়, এ উদ্যোগী হওয়াই সাম্প্রদায়িকতা। বিশ্বের বহু দেশে সাম্প্রদায়িকতার কারণে মানবতা ও উন্নয়ন ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। তাই সাম্প্রদায়িকতা মানুষের যুগ-যুগান্তরের অভিশাপ।সাম্প্রদায়িকতার বয়স ১ লক্ষ ৯৬ হাজার বছর। সভ্যতার শুরু থেকে নানা বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আজকের এ পৃথিবী। Adherents.com এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, পৃথিবীতে মোট ধর্মের সংখ্যা ৪,৩০০টি। এর মধ্যে প্রধান ধর্ম ১০টি। বিশ্ব জনসংখ্যা রিপোর্ট ২০২১ অনুযায়ী, পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা ৭৮৭.৫০ কোটি। এর মধ্যে খ্রিস্টধর্মের জনসংখ্যা প্রায় ২১০ কোটি, মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ১৪০ কোটি এবং হিন্দু জনসংখ্যা প্রায় ৯০ কোটি। প্রত্যেক ধর্মের অনুসারীরা নিজেদের ধর্মের সত্যের ব্যাপারে কঠোর এবং অন্যের ধর্মের প্রতি, অন্যের মতের প্রতি অসহিষ্ণু। যার ফলে সৃষ্টি হয় সাম্প্রদায়িক সংঘাতের। পৃথিবীতে মানুষের আগমনের সূচনাপর্বে কোনো ধর্ম, বর্ণ, জাতি ও গোত্রভেদ ছিল না। পরবর্তীতে মানুষ যখন সমাজ, রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করল, তখন থেকে আত্মস্বার্থের কারণে মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি হয়। মোগল আমলে দোল খেলাকে কেন্দ্র করে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে দাঙ্গা হয়। ব্রিটিশরা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন দমন করার জন্য ‘ভাগ করো ও শাসন করো’ নীতিতে হিন্দু-মুসলমানের বিরোধ বাঁদিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সৃষ্টি করেছিল। ১৯২২ থেকে ১৯২৭ এ কয়েক বছরে একশটিরও বেশি দাঙ্গা হয়। ১৯৩০ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত প্রতিবছরই হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হয়েছে।ক্ষতিকর প্রভাব : সাম্প্রদায়িকতা মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও জাতীয় জীবনে উন্নতির অন্তরায়। এটি মানুষের সুস্থ, সুন্দর ও শান্তিময় জীবনকে নষ্ট করে। মানুষকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। হীন সাম্প্রদায়িকতার মূলে রয়েছে ধর্মীয় গোঁড়ামি ও অন্ধবিশ্বাস। সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধি প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে সমাজের অগ্রগতিকে রুদ্ধ করে দেয়। অথচ কোনো ধর্মই এই ভেদবুদ্ধিকে সমর্থন করেনি। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে- ‘ধর্মের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নেই।’ ধর্ম ব্যবসায়ীদের কারণে আজও দেশে দেশে, জাতিতে জাতিতে সীমাহীন ভেদবুদ্ধ ও হিংসা অগ্নিদহন চলছে। এখনো কেবল ধর্মের দোহাই দিয়ে ধুলায় মেশে মানবতা, সভ্যতা ও বিবেক।সাম্প্রদায়িকতার জন্যই হিটলারের গ্যাস চেম্বারে লক্ষ লক্ষ ইহুদি প্রাণ দিয়েছিল। সেই ইহুদিদের অস্ত্রাঘাতেই আজ আবার ফিলিস্তিনবাসী রক্তে রঞ্জিত। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত ভাগের ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছিল ছেচল্লিশের দাঙ্গার মাধ্যমে। এখনো দেশে দেশে শ্বেতাঙ্গের কৃষ্ণাঙ্গ নির্যাতনে কলঙ্কিত হয় ইতিহাস। ভারত, পাকিস্তান, চীন, বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, ইথিওপিয়া, মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশে সংখ্যাগুরুরা সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। এসব দেশে কেবল বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মাঝেই নয়, একই ধর্মের বিভিন্ন গোত্র-সম্প্রদায়ের মধ্যে রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা সংঘটিত হচ্ছে। কাজেই সাম্প্রদায়িকতার কারণে বিশ্বশান্তি, মানুষে মানুষে ঐক্য ও সংহতি বজায় থাকছে না, সর্বোপরি ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে মানবতা।সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি : সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বলতে বোঝায় সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে প্রীতি, জাতি-গোষ্ঠীতে সংহতি ও সুসম্পর্ক। জাতি-পাত, ধর্ম-বর্ণ ও সভ্যতা-সংস্কৃতির ঊর্ধ্বে উঠে মানুষে মানুষে মিল-সৌহার্দ। দল-মত ও শ্রেণির অধিকারপূর্ণ সহাবস্থান। লঘু-গরিষ্ঠের পরিচয় থেকে বেরিয়ে নাগরিকে নাগরিকে মিলেমিশে বসবাস। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আইনের চোখে সম্প্রদায় ভেদে সবার অধিকার সমান এবং প্রত্যেকেই নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকারী- এ সাংবিধানিকদ অনুশাসনই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রক্ষাকবচ। মানবসমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির গরুত্ব অনেক। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মানুষের মধ্যে ধৈর্য, সহনশীলতা, সহমর্মিতা ও শ্রদ্ধাবোধের বিকাশ ঘটায়। মধ্যযুগের কবি চণ্ডীদাস বলেছিণে, ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’- এটিই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মূলমন্ত্র।প্রয়োজনীয়তা : জাতীয় ও অন্তর্জাতিক পর্যায়ে সকল ক্ষেত্রেই উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি একান্ত জরুরি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকলে সমাজ ও রাষ্ট্রের কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় না রাখলে একটি জাতি কখনোই শাক্তিশালী হয়ে উঠবে না। মানুষে মানুষে বিভেদ কখনোই মানবজাতির অগ্রগতির জন্য সহায়ক নয়। তাই সাম্প্রদায়িকতার উচ্ছেদ একান্ত জরুরি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অভাবে মানুষের মাঝে অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় যা সমাজের ব্যাপক ক্ষতি করে। তাই দেশের ভবিষ্যৎ, নিরাপত্তা এবং সংহতিকে বিপন্ন হওয়া থেকে বাঁচাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বাংলাদেশ : বাংলাদেশ এমন এক দেশ যেখানে হাজার বছর ধরে সকল ধর্মের মানুষ পারস্পরিক সম্প্রীতি বজায় রেখে সুখে-শান্তিতে বাস করে আসছে। পারস্পরিক দুঃখ-কষ্টে এবং আনন্দ বেদনায় শামিল হয়ে আসছে, যেখানে কে কোন ধর্মের তা বিবেচনা করেনি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এ দেশের মানুষের সুমহান ঐতিহ্য। বিশ্বে বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে পরিচিত। এদেশের মানুষ অনেক বেশি ধর্মপরায়ণ বলে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি সর্বদাই সহনশীল। এদেশে প্রতিটি ধর্মের মানুষ তাদের স্ব স্ব ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করে থাকে। ১৯৭২ সালের সংবিধানে বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ঘোষিত হয়। এদেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। এখানে সকলেই সমান নাগরিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকে। রাজনৈতিক দিক থেকে মতপার্থক্য থাকলেও জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ একটি সম্পূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ।সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য : সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মানুষের দীর্ঘদিনের আচার-আচরণ, কাজ-কর্ম ও রীতিনীতির মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য কোনো প্রথা বা উপাদান। বাংলাদেশের সংস্কৃতির রয়েছে গৌরবময় ঐতিহ্য। বাঙালি সংস্কৃতি বললেই উদ্ভাসিত হয় এক মিশ্র সংস্কৃতির চেহারা, যা গড়ে উঠেছে নানা জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও নানা সময়ের পলিস্তর জমে। বাঙালি সংস্কৃতিতে যেমন পড়েছে ব্রাহ্মণ্য ও বৌদ্ধ প্রভাব তেমনি পরবর্তীকালে তাতে মিশেছে ইসলামি সংস্কৃতির স্রোতধারা। নানা ধর্ম-সংস্কৃতির প্রভাবে ও মেলবন্ধনে বাঙালি সংস্কৃতি নিয়েছে সমন্বয়ধর্মী রূপ, হয়েছে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল বাঙালির যৌথ সম্পদ। এখানে এক সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে অন্যরা হয় আমন্ত্রিত, ভাগ করে নেয় আনন্দ। পহেলা বৈশাখ বা নববর্ষের মতো অনুষ্ঠানে পত্যেকে উদারভাবে পরষ্পরের জন্য মনের দুয়ার খুলে দেন। সাম্প্রদায়িকতার হীনম্মন্যতায় তাই এ সমাজে তেমন কেউ ভোগে না। এ সমাজে প্রত্যেকে পরিশীলিত রুচির অধিকারী নয় বটে; কিন্তু সুরুচি এখানে সবার আদর্শ।স্বাধীনতা আন্দোলনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি : ধর্মীয় বিশ্বাসের দিক থেকে আলাদা হলেও বাংলার হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলিম-খ্রিষ্টান সুদৃঢ় সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ। প্রাচীন, মধ্য ও আধুনিক কোনো যুগেই এ সহাবস্থানের বন্ধন ছিন্ন হয়নি। যখনই দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত এসেছে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ব্রিটিশদের এদেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করে এবং গড়ে তোলে স্বাধীন বাংলাদেশ- যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘বাংলার মাটিতে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই’।বিশ্ব শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি : বিশ্বের সিংহভাগ মানুষ আজ সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষে আজ কোটি কণ্ঠের আহ্বান। মানুষ আজ আর বিচ্ছিন্ন জীবন যাপন করতে পারে না। বিশ্বজনীন শান্তি ও সম্প্রীতির মধ্যেই তার মঙ্গল নিহিত। বর্ণভেদ, ধর্মভেদ, সাদা-কালোর দ্বন্দ্ব আজকের পৃথিবীতে স্থান পেতে পারে না। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আজও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জাতি, ধর্ম, বর্ণের ভেদাবেদ প্রকট। এ কারণে বিভিন্ন দেশে গৃহযুদ্ধ, সংঘাত, হত্যাযজ্ঞ ইত্যাদি লেগেই রয়েছে। মানুষ ঐক্যের আদর্শ ভুলে গিয়ে হিংসা, পরমত অসহিষ্ণুতা, মৌলবাদী সংকীর্ণ স্বার্থচিন্তার কারণে হানাহানিতে মেতে উঠেছে। ফলে প্রাণ, ঐক্য ও সংহতির ওপর পড়ছে চরম আঘাত। একবিংশ শতাব্দীতে এসেও মানুষে মানুষে এ বিভেদ কাম্য হতে পারে না। আজ বিশ্বে যেখানে যত অশান্তি বিরাজ করছে সেখানে ধর্ম-বর্ণ-জাতির ভেদবুদ্ধির অশান্তি দূর করতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিকল্প নেই।শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি : সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মানুষের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে শান্তির উৎস। স্রষ্টা মানুষকে বিবেক-বুদ্ধি দিয়ে যে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে স্থান দিয়েছেন তার জন্য মানুষকে অবশ্যই বিবেকবান ও মানবতাবাদী হতে হবে। ধর্ম-বর্ণের ভেদবুদ্ধি, সাদা-কালোর বৈষম্যকে আজকের সভ্য জগৎ থেকে বিতাড়িত করতে হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ আজ রুখে দাঁড়িয়েছে শান্তি-শৃঙ্খলাবিরোধীদের বিরুদ্ধে। মানবতার অমৃতবাণী ছড়িয়ে প্রড়েছে দিকে দিকে। আজ সকলেই চায় বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করেই পৃথিবীতে শান্তি ও প্রগতি স্থাপন সম্ভব।

উপসংহার :

প্রকৃতির সৃষ্টিতত্ত্বে মানুষে মানুষে কোনো পার্থক্য বা ভেদাভেদ নেই। মানুষ নিজেই তার জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের কৃত্রিম বিভেদ সৃষ্টি করেছে। যা মানুষকে ক্রমশ সংঘাতের দিকে ধাবিত করেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনুপস্থিতিতে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত না করে কোনো জাতি উন্নতি করতে পারে না। সমৃদ্ধ ও শাক্তিশালী জাতি গঠনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিকল্প নেই।
সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রচনা pdf

সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি pdf download করুন

  • বাংলা প্রবন্ধ রচনা/অনুচ্ছেদের নামঃ সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি,
  • ফাইল ফরম্যাটঃ pdf download(পিডিএফ ডাঊনলোড),
  • ক্যাটাগরিঃ Bangla Rochona pdf(Rachona),
  • ধরুন- পয়েন্ট আকারে রচনা,
  • Total word: 200, 300, 400, 500, 800, 1000, 1500 শব্দ,
  • ক্লাসঃ class 6, 7, 8 ,9 10, 11, 12,
  • Psc(প্রাইমারি স্কুল), JSC(হাই স্কুল), SSC(এস এস সি), HSC(এইচ এস সি), fazil(ফাজিল), kamil(কামিল) hons, degree
এই বাংলা রচনার pdf পেতে এখানে দেখতে পারেন।


FAQ About সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি

Question1: রচনাটির কেমন?
Answer1: সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পড়ে রচনাতে পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ভাল করা সম্ভব।


Question2: সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এর পিডিএফ কি এখানে পাওয়া যাবে?

Answer2: জি, সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রচনাটি PDF সহ সম্পুর্ন এখানে পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button