বাংলা রচনা বই PDF কালেকশন - Bangla Rochona for class 5, 6,7,8,9,10

চিড়িয়াখানা রচনা (পয়েন্ট আকারে ৮০০ শব্দ) for All Class

২০০-৩০০, ৫০০, ৮০০, ১০০০ শব্দ পয়েন্ট আকারে চিড়িয়াখানা রচনা pdf আকারে সম্পূর্ন এখানে পাবেন। আশাকরি, ৫ম, ৬ষ্ঠ, তম, ৮ম, ৯ম, ১০ম শ্রেণি ও JSC, SSC, HSC রচনা প্রতিযোগিতায় ভাল ফলাফল পেতে ও বিজয় পেতে এই চিড়িয়াখানা Bangla Rochona পিডিএফ ডাউনলোড করার মাধ্যমে এই পোস্ট আপনাকে হেল্প করবে।

Contents

চিড়িয়াখানা রচনা বিস্তারিত

চিড়িয়াখানা রচনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ

চিড়িয়াখানা হলো নানারকম পশু-পাখির সংগ্রশালা। সরকারি বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে চিড়িয়াখানায় দেশ-বিদেশের নানা রকম, নানা প্রজাতির পশু-পাখি সংগ্রহ করে রাখা হয়। তা প্রদর্শন ও বিনোদন এবং গবেষণার জন্য কাজে লাগানো হয়। বর্তমানে যেভাবে খেলাধুলার জায়গা কমে আসছে, যার প্রভাবে চিড়িয়াখানা বর্তমানে বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। চিড়িয়াখানা হলো দেশ-বিদেশের নানান পশু-পাখির সমাহার। প্রাচীনকালে চীন, মিশর ও রোম বন্যপশু ও পাখির সংগ্রহশালার বিখ্যাত ছিল। প্রায় তিন হাজার বছর আগে চীনা সম্রাটরা রাজপ্রাসাদ এলাকায় প্রথম চিড়িয়াখানা চালু করেন। নানা জায়গা থেকে বিভিন্ন ধরনের পশু-পাখি সংগ্রহ করে রাজ-পরিবারের বিনোদনের জন্য এসব চিড়িয়াখানা গড়া হয়েছিল। মধ্যযুগের শেষে অনেক শাসকের ব্যক্তিগত বন্য পশু-পাখির সংগ্রহশালা ছিল। পরবর্তীকালে জনসাধারণের জন্য কয়েকটি চিড়িয়াখানা খুলে দেয়া হয়েছিল। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই বড় বড় শহরে পশু-পাখির সংরক্ষণাগার বা চিড়িয়াখানা রয়েছে। প্রাচীনকালে চিড়িয়াখানার পশু-পাখিকে ছোট-বড় লোহার খাঁচায় বা মাটির গর্তে কিংবা ছোট ছোট ঘরে বন্দি করে রাখা হতো। এতে করে বাইরে থেকে পশু দেখা যেত না এবং বাইরের পরিবেশের সাথে পশুর কোনো সম্পর্ক থাকত না। আর এভাবে বন্দিদশায় পশু বেশি দিন বাঁচত না কেননা পশুরা খাঁচায় বন্দি থাকতে চায় না। তারা বাধাহীনভাবে বাঁচতে চায়। এ কারণে আধুনিককালে খাঁচাবন্দি করার পরিবর্তে একটি নির্দিষ্ট এলাকা জুড়ে উন্মুক্ত প্রাকৃতিক বাসস্থানের মতো করে বাসস্থান তৈরি করে সেখানে প্রাণী প্রদর্শন করার ব্যবস্থা করা হয়। এতে করে মানুষ এসব প্রাণী সরাসরি দেখতে পায় এবং নানা বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে পারে, বাংলায় ১৮০১ সাল থেকে কোলকাতায় চিড়িয়াখানা গড়ে ওঠে। আর আধুনিককালে প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক চিড়িয়াখানা গড়ে ওঠে লন্ডন শহরে ১৮২৯ সালে। তার দেখাদেখি ইউরোপের বিভিন্ন শহরেও চিড়িয়াখানা গড়ে ওঠে। বাংলাদেশের বৃহত্তম চিড়িয়াখানাটি অবস্থিত ঢাকার মিরপুরে। মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়-এর অধীনে এটি বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা। ১৯৫০ সালে এটি হাইকোর্ট চত্বরে জীবজন্তুর প্রদর্শনশালা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীকালে ১৯৭৪ সালে এটিকে মিরপুরে স্থানান্তরিত করা হয়। প্রায় ৭৫ হেক্টর আয়তনের এই চত্বরে ১৩ হেক্টরের ২টি লেক আছে। লেক দুটিতে প্রতি বছর শীতে হাজার হাজার অতিথি পাখি ভিড় জমায়। ঢাকা চিড়িয়াখানায় প্রতিবছর প্রায় ৫০ লক্ষ দর্শক যাওয়া-আসা করে। রবিবার ছাড়া সপ্তাহের অন্যান্য দিনে চিড়িয়াখানা খোলা থাকে। এই চিড়িয়াখানায় আছে ১৯০ প্রজাতির জীবজন্তু। ঢাকা ছাড়াও বাংলাদেশের রংপুর, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও খুলনা শহরে ৪টি চিড়িয়াখানা রয়েছে। যা শহরের মানুষের চিত্তবিনোদনের জন্য আদর্শ স্থান। চিড়িয়াখানার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে প্রাণিবিনিময়ের ব্যবস্থা থাকে। প্রাণিবিনিময়ের মাধ্যমে এক দেশ থেকে অন্য দেশে পশুপাখি সংগ্রহ করা যায়। অবশ্য মাঝে মাঝে বিভিন্ন দেশ থেকে উপহার হিসেবেও অনেক পশু-পাখি পাওয়া যায়। আবার কিনেও সংগ্রহ করা হয়। তবে আজকাল লালন-পালনের মাধ্যমে চিড়িয়াখানার ভেতরেই পশু-পাখি বৃদ্ধি করা হচ্ছে এবং চিড়িয়াখানার সুযোগ-সুবিধাও বৃদ্ধি করা হচ্ছে। চিড়িয়াখানায় প্রায় সকল প্রজাতির পশুই থাকে। বাঘ থেকে শুরু করে সিংহ, শিয়াল, হায়েনা, বানর থেকে শুরু করে হনুমান, বিভিন্ন ধরনের সাপ, গিনিপিগ, বিভিন্ন প্রজাতির কুমির, হরিণ, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, হাতি, জলহস্তী, গরিলাসহ নানান ধরনের পশু-পাখি চিড়িয়াখানায় লক্ষ্য করা যায়। চিড়িয়াখানা প্ররিচালনার জন্য কিছু কর্মচারী নিয়োগ দেয়া থাকে। চিড়িয়াখানায় একেক প্রাণীর জন্য আলাদা নির্দিষ্ট স্থান থাকে এবং তাদের খাবার দেয়ার লোকও থাকে। তারা তাদের নিয়মিত পরিচর্যা করেন এবং রোগ-বালাই-এর লক্ষণ দেখা দিলে তারা তার প্রতিরোধের ব্যবস্থা করেন। চিড়িয়াখানায় পশুদের জন্য আলাদা চিকিৎসক রয়েছে। চিড়িয়াখানা মানুষকে নির্মল আনন্দ দেয়। কেননা চিড়িয়াখানার অনাবিল পরিবেশ এবং রং-বেরঙের পশুপাখি, নির্মল বাতাস সবই মানুষের হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়। তা ছাড়া ছোট ছোট শিশুদেরকে প্রাণী চেনাবার জন্য অনেক বাবা-মা চিড়িয়াখানায় নিয়ে যায় যাতে করে বিনোদনও হয় এবং কিছু শেখাও হয়। সেজন্য প্রত্যেক শহরে একটি করে চিড়িয়াখানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। পশু-পাখির বিচিত্র কলরবে মুখর চিড়িয়াখানা যেমনি নির্মল আনন্দ লাভ ও চিত্তবিনোদনের মিলনমেলা, তেমনি পশু-পাখি সম্পর্কিত জ্ঞানের উৎস ভূমি। তাই চিড়িয়াখানায় সংগ্রহ বৃদ্ধি, সংগৃহীত পশু-পাখির পরিচর্যায় সংশ্লিষ্ট সকলের যত্নবান হওয়া উচিত এবং আমাদের ছেলেমেয়েদের চিড়িয়াখানায় বেড়াতে নিয়ে যাওয়া উচিত। আরো দেখুন : রচনা : বাংলাদেশের পাখি রচনা : বাংলাদেশের ফল রচনা : গরু রচনা : বাংলাদেশের জাতীয় গাছ : আম গাছ রচনা : বাংলাদেশের জাতীয় ফল : কাঁঠাল রচনা : বাংলাদেশের জাতীয় ফুল : শাপলা রচনা : বাংলাদেশের জাতীয় পাখি : দোয়েল রচনা : বাংলাদেশের জাতীয় পশু : বাঘ রচনা : বাংলাদেশের গৃহপালিত পাখি রচনা : বাংলাদেশের অর্থকরী ফসল : ধান রচনা : প্রাণিজগৎ
চিড়িয়াখানা রচনা pdf

চিড়িয়াখানা pdf download করুন

  • বাংলা প্রবন্ধ রচনা/অনুচ্ছেদের নামঃ চিড়িয়াখানা,
  • ফাইল ফরম্যাটঃ pdf download(পিডিএফ ডাঊনলোড),
  • ক্যাটাগরিঃ Bangla Rochona pdf(Rachona),
  • ধরুন- পয়েন্ট আকারে রচনা,
  • Total word: 200, 300, 400, 500, 800, 1000, 1500 শব্দ,
  • ক্লাসঃ class 6, 7, 8 ,9 10, 11, 12,
  • Psc(প্রাইমারি স্কুল), JSC(হাই স্কুল), SSC(এস এস সি), HSC(এইচ এস সি), fazil(ফাজিল), kamil(কামিল) hons, degree
এই বাংলা রচনার pdf পেতে এখানে দেখতে পারেন।


FAQ About চিড়িয়াখানা

Question1: রচনাটির কেমন?
Answer1: চিড়িয়াখানা পড়ে রচনাতে পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ভাল করা সম্ভব।


Question2: চিড়িয়াখানা এর পিডিএফ কি এখানে পাওয়া যাবে?

Answer2: জি, চিড়িয়াখানা রচনাটি PDF সহ সম্পুর্ন এখানে পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button