টাইম ম্যানেজমেন্ট বই রিভিউ + PDF | Time Management book review in bangla
Time Management book review in bangla | ব্রায়ান ট্রেসি টাইম ম্যানেজমেন্ট বই রিভিউ –
আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে ভারসাম্য ও সংযম।এগুলো একেবারে পাওয়া যায় না।ধীরে ধীরে গ্রহন করতে হয়।এই বইয়ের বুদ্ধি ধারনা ও কৌশল গুলো চর্চার মাধ্যমে আপনি একজন সময়নিষ্ঠ ব্যাক্তি হয়ে উঠবেন এবং ……………………বাকি টা জানার জন্য এই বই কে খুব গুরুত্ব দিয়ে আপনাকে পড়তে হবে ।বিশ্বাস রাখেন ঠকবেন না।
বইটিতে সময়ের সঠিক ব্যবহারের দিকনির্দেশনা মূলক এবং গঠনমূলক আলোচনা খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো অনুবাদ তুলনামূলক ভাবে খবুই নিম্নমানের ।
একটি ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট সেলার বইয়ের এইধরনের অনুবাদ মোটেই কাম্য নয় ।
আশা করি অনুবাদক সামনের দিনগুলোতে এই ভুলগুলো সংশোধন করে আমাদেরকে ভালো মানের বই উপহার দিবে ।
টাইম ম্যানেজমেন্ট বই রিভিউ – ব্রায়ান ট্রেসি
একটা কথা আছে না, নিজ ভাষা আপনার মর্মে যতটা মর্মাহত করতে পারে, অন্য ভাষা তা পারেনা। আত্মপ্রেরনা মূলক সময় বাচানো টাইম ম্যানেজমেন্ট এর এই বইটা আমাকে তেমনিভাবে মর্মে মর্মাহত করে মর্মার্থ বুঝাতে পেরেছে। হাতে তিনটা বই ছিল আরো- never eat alone, how to not fk, to kill a mocking bird, সব বাদ দিয়ে এই বইটিই পড়ামাত্রই মনে হয়েছে-বইটি আমার প্রয়োজন।
অনুবাদক মাঝে মাঝে তার নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন, বিভিন্ন বই থেকে উক্তি নিয়েছেন, পাঠকদের সহজবোধ্য করবার জন্য কাছাকাছি উদাহরন টেনেছেন। তাতে পাঠকদের কাছে বইটি আরো সহজবোধ্য হয়েছে। তবে মাঝে মাঝে এবং বইয়ের শেষে অনুবাদক নিজের একান্ত উপদেশ টেনেছেন-যা বোধগম্য হয়নি, বা তাকে সুখকর মনে হয়নি। নিজের স্বার্থেই হোক, বা বিভিন্ন দরকারেই হোক বইয়ের কিছু অংশ না তুলে রাখলেই নয়।
“সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন হচ্ছে সময়নিষ্ঠ হওয়ার অভ্যাস গঠনের জন্য একটি সিদ্ধান্ত নিন। যেমন সামনে কোন সভা বা কারু সাথে সাক্ষাত থাকলে একটু আগে যান”
“নেপোলিয়ন হিল তার বিশ বছরের গবেষনায় আবিস্কার করেছেন যে যখন একজন ব্যাক্তির সামনে তার জীওবনের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে, লিখিত ও স্পষ্টভাবে তার সামনে থাকে সে তার জীবনকে সাধারন জায়গা থেকে সর্বোচ্চ শিখরে নিয়ে যায়”
“থিঙ্কিং ফাস্ট এন্ড স্লো তার বইয়ের সারমর্ম হচ্ছে আমরা আমাদের প্রতিদিনকার জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে দুই ধরনের চিন্তা করবো। এক হচ্ছে দ্রুত চিন্তা, আর দুই হচ্ছে ধীর চিন্তা”
“ক্যানেম্যনের বক্তব্য হচ্ছে এই ধীর চিন্তা করতে না পারাটাই আমাদের ব্যার্থতার মুখোমুখি করে। জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই একটু অবসর একটু স্বস্তি দরকার। তখন দরকার হয় ধীর চিন্তা করে ঘটনাকে খুজে দেখা ও বোঝা। কিন্তু আমরা তাড়াহুড়া করতে গিয়ে এই ধীর চিন্তার প্রতি সময় না দিতে না পেরে ভুল করি। কাজেই ব্যার্থ হই”
“কাগজে লিখে পরিকল্পনা তৈরি করুন। মুখে মুখে পরিকল্পনা তৈরি করা বন্ধ করুন। যত সফল সময়নিষ্ঠ ব্যাক্তি আছে তারা সকলেই ভালো পরিকল্পনা বিদ। তার নানান ধরনের তালিকা করে। এটাকে নানান ভাগ উপভাগে সাজায়। মুখ্য কারনগুলো বের করে এবং গৌণ ব্যাপারগুলোর দিকেও পর্যাপ্ত নজর দেয়। …কথায় আছে পরিকল্পনার এক একটি মিনিট কর্মক্ষেত্রের দশ মিনিট করে সময় বাচায়”
“কাজ অবশ্যই করবেন তবে আগে পরিকল্পনা করুন। আগে একটি সাদা কাগজ ও কলম নিয়ে বসুন। কাগজে আপনার সুবিধাগুলো লিখে ফেলুন। আপনার কী কী অসুবিধা আছে তাও লিখুন। স্পষ্টভাবে নিজের সুবিধাগুলো দেখুন এবং আপনার কাজ সম্পন্ন করতে আর কী কী দরকার তা সম্পর্কেও নির্দিষ্ট হোন”।
“আপনার কর্মতালিকা তৈরি করার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হচ্ছে আগের রাত্রি। এতে করে আপনি অনুসুচি তৈরি করে ঘুমিয়ে পড়লে আপনার অবচেতন মন এটার ওপর কাজ করার সুযোগ পায়”।
“প্রনিল পদ্ধতির কথা বলেছি। সেখানে ১ ২ ৩ ৪ ৫ নম্বর ভিত্তিক ক্রমটি অতীব জরুরি। এটা সময় ব্যবস্থাপনার শক্তিশালী কৌশলগুলোর মধ্যেই অন্যতম। এতে করে খুব শহজেই আপনি ঠিক করতে পারবেন যে কীভাবে কোন কাজটিকে গুরুত্ব দিবেন, প্রাধান্য অনুযায়ী সাজাবেন। এছাড়াও আরো কিছু কৌশল আছে যেগুলো আপনি কাজে লাগালে উপকৃত হবেন…।এক একটি ধরে কাজগুলো বিশ্লেষন করেন আপনি দেখবেন এমন তিনটি কাজ আছে যেগুলো বাকি ৯০ শতাংশ কাজের সমান গুরুত্বপুর্ন। এগুলোই আপনাকে গুরুত্ব সহকারে করতে হবে”।
ডাউনলোড লিংক – Time Management book bangla pdf