বাংলা রচনা বই PDF কালেকশন - Bangla Rochona for class 5, 6,7,8,9,10

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক রচনা (পয়েন্ট আকারে ৮০০ শব্দ) for All Class

২০০-৩০০, ৫০০, ৮০০, ১০০০ শব্দ পয়েন্ট আকারে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক রচনা pdf আকারে সম্পূর্ন এখানে পাবেন। আশাকরি, ৫ম, ৬ষ্ঠ, তম, ৮ম, ৯ম, ১০ম শ্রেণি ও JSC, SSC, HSC রচনা প্রতিযোগিতায় ভাল ফলাফল পেতে ও বিজয় পেতে এই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক Bangla Rochona পিডিএফ ডাউনলোড করার মাধ্যমে এই পোস্ট আপনাকে হেল্প করবে।

Contents

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক রচনা বিস্তারিত

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক রচনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ

ভূমিকা + বর্ণনা :

ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী দেশ ভারত। তাই স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে ভারতের সাথে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠে। দুটি দেশের মধ্যে যে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মিল রয়েছে সেটিই মূলত এই সম্পর্কের ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক : প্রতিবেশী হিসেবে ভারত বাংলাদেশ পরস্পর একে অপরকে সর্বদা সহযোগিতা করে থাকে। যার ফলে উভয়ের মাঝেই সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে সম্পর্কের ভালো ও খারাপ উভয়দিকই রয়েছে। নিম্নে সে বিষয় সম্পর্কে আলোকপাত করা করা হলো- সম্পর্কের ভালো দিক : স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হতে আজ পর্যন্ত ভারতের সাথে বাংলাদেশের খুব ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। সম্পর্কের এ ভালো দিকগুলো হলো- স্বাধীনতা যুদ্ধ : ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটা নতুন ভূ-খন্ডের সৃষ্টি হয়। যেখানে ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ভারতের সহযোগিতা ছাড়া এত অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সম্ভবপর ছিল না। সে সময় বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। তারা অসংখ্য বাঙালি যুবককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ যোদ্ধা হিসেবে গড়ে তোলে। শুধু তাই নয় ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী মিলে গঠন করেছিল যৌথবাহিনী। এর ফলেই মাত্র ৯ মাসের মধ্যে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে সমর্থ হয়। তাছাড়া স্বাধীনতার প্রথম স্বীকৃতিটাও আসে ভারতের কাছ থেকে। বাণিজ্য : ভারতের সাথে বাংলাদেশের ব্যাপক বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ বিভিন্ন দ্রব্যাদি ভারত থেকে এদেশে আমদানি করা হয়। আবার বাংলাদেশ থেকেও বিভিন্ন জিনিস ভারতে রপ্তানি করা হয়। যার ফলে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক দিক দিয়ে একটা মধুর সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সময় বাণিজ্যিক চুক্তিও সম্পাদিত হয়েছে। যা দুটি দেশের অর্থব্যবস্থাকে অনেকখানি প্রভাবিত করছে। সন্ত্রাস প্রতিরোধ এবং অবৈধ মাদক পাচার রোধ চুক্তি : কোনো সন্ত্রাসী চক্র এবং তাদের সহযোগিরা যদি দেশবিরোধী সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায় এবং তাতে রাষ্ট্রীয় সীমানা ব্যবহার করে তবে দুটি দেশ প্রয়োজনীয় ও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করতে পারবে। এছাড়া অবৈধ মাদক পাচার এবং তার অপব্যবহার বন্ধের জন্য চুক্তি সম্পাদান করেছে উভয় দেশ। সেটি ভারত ও বাংলাদেশের সন্ত্রাস দমনে সাহায্য করে। ঋণ সহায়তা চুক্তি : কোনো দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য প্রতিবেশী বা অন্য কোনো দেশের ঋণ সহায়তা দরকার। সেটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। সম্প্রতি তথা ২০১০ সালের ৭ আগস্ট ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সাত হাজার কোটি টাকার ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যার সঠিক বিনিয়োগে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হতে পারে। যোগাযোগ ব্যবস্থা : ভারতের সাথে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। দুদেশের মধ্যে বিমান যোগাযোগ ছাড়াও রেল ও সড়ক যোগাযোগ চালু হয়েছে। যার মাধ্যমে পণ্য পরিবহন ও যাত্রী বহনের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। বিদ্যুৎ সুবিধা : বিদ্যুৎ ছাড়া বর্তমান যুগকে কল্পনাই করা যায় না। তাই দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ২০১০ সালের ২৬ জুলাই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৩৫ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ সঞ্চালন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়া ২০১০ সালের ১২ জানুয়ারি যে ৫০ দফা ঘোষণা দেয়া হয় সেখানেও বাংলাদেশকে ভারত ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে সম্মত হয়। সম্পর্কের নেতিবাচক দিক : ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কের যেমন ভালো দিক রয়েছে। বিপরীতে খারাপ দিকও কম নয়। উভয় দেশের সম্পর্কের খারাপ দিকগুলো হলো- পানি বণ্টন সমস্যা : স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশ প্রথম যে সমস্যার সম্মুখীন হয় তা হলো পানি বণ্টন সমস্যা। বাংলাদেশের প্রায় সকল নদীর পানির উৎস হচ্ছে ভারত। তাই আমাদের পানির প্রবাহ মূলত ভারতের উপর নির্ভরশীল। আর বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ হওয়ায় পানির প্রয়োজনীয়তা খুব বেশি। কিন্তু ভারত বরাবরই এ প্রয়োজনীয়তাকে আগ্রহ্য করে এসেছে। ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের ফলে পদ্মার প্রবাহ স্তিমিত হয়ে গেছে। বর্তমানে যে টিপাইমুখ বাঁধ দেয়ার কথা বলা হচ্ছে যা কার্যকর হলে বাংলাদেশ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। বিএসএফের কর্মকান্ড : ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা নির্বিচারে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা করলেও তার কোনো বিচার হয় না। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত শত শত মানুষ সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়। যা দুটি দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা বড় হুমকি। গ্যাস রপ্তানির ক্ষেত্রে বিতর্ক : বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার আরেকটি সমস্যা হচ্ছে গ্যাস রপ্তানির ক্ষেত্রে সমস্যা। রপ্তানি করার মতো যথেষ্ট গ্যাস আমাদের দেশে মজুদ নেই। কিন্তু ভারত গ্যাস রপ্তানি করার জন্য বাংলাদেশকে ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করছে। ফলে উভয় দেশের মাঝে সমস্যা নতুন করে রূপ নিচ্ছে। অবাধ বাণিজ্য চুক্তি : ভারত এবং বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রয়েছে চরম ভারসাম্যহীনতা। তার উপর আবার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি। এর ফলে ভারতের পণ্য মুক্তভাবে বাংলাদেশে প্রবেশাধিকার পাবে। যে কারণে বাংলাদেশের পণ্য ও শিল্প কারখানা ক্ষতির সম্মুখীন হবে। ট্রানজিট সমস্যা : ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় যে সাতটি রাজ্য রয়েছে তা এক অর্থে বাংলাদেশের ভূমি দ্বারা বিচ্ছিন্ন। এসব রাজ্যে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে কিন্তু সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে এ সমস্ত সম্পদকে কাজে লাগিয়ে উক্ত অঞ্চলের উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সহজ যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার জন্য ভারত বাংলাদেশের ওপর দিয়ে সাতটি রাজ্যে যাওয়ার ট্রানজিট দাবি করছে। অন্যদিকে বাংলাদেশও ভৌগোলিক অখ-তা ও আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এটিকে সমর্থন দিতে পারছে না। ফলে উভয় দেশের মধ্যে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। অন্যান্য সমস্যা : উপরিউক্ত সমস্যা ছাড়াও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে আরো কিছু সমস্যা রয়েছে। যেমন- নদী ও সমুদ্রসীমা নির্ধারণ সংক্রান্ত সমস্যা, সীমানা চিহ্নিতকরণ ও ছিটমহল বিনিময় সংক্রান্ত সমস্যা প্রভৃতি। তাদের বিমাতাসুলভ আচরণের আরেকটি বড় উদাহারণ হচ্ছে ক্রিকেটে বাংলাদেশ প্রায় ১ যুগ আগে টেস্ট স্ট্যাটাস পেলেও প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আজ পর্যন্ত একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজের জন্য আমন্ত্রণ জানায়নি। সমস্যা সমাধানের উপায় : ভারতের সাথে বাংলাদেশের বহুবিধ সমস্যা রয়েছে। তবে এসব সমস্যাকে জটিল না করে বরং সমাধানের পথ খুঁজে বের করা উচিত। নিম্নে এরকম কিছু সমাধানের উপায় উল্লেখ করা হলো- ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তার বাস্তবায়ন ঘটলে পানি বণ্টন সমস্যা অনেকখানি সমাধান হবে। ভারতের বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে বিনা কারণে হত্যাকান্ড ঘটে। তার সুষ্ঠু বিচার হলে এ সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব হবে। ভারত যাতে আগ্রাসীভাবে কোনো কিছু বাংলাদেশের উপর চাপিয়ে দিতে না পারে সেজন্য বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করতে হবে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে জনমত গঠন ও জাতীয় আন্দোলনের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে মূখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। ভারত যদি বাংলাদেশের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে না আসে তাহলে বিষয়টি আন্তর্জাতিক ফোরামে উত্থাপন করা যেতে পারে। সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ সরকারকেই বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ সরকারের জোরালো উপস্থাপনই বিশ্ব সংস্থার কাছে এদেশের সমস্যাগুলো গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে। সর্বোপরি পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ, ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থ ভুলে জাতীয় স্বার্থে বাংলাদেশ ও ভারতকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তবেই সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যাবে।

উপসংহার :

প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত-বাংলাদেশ একে অপরের উপর কম-বেশি নির্ভরশীল। তাই উভয় দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সুসস্পর্ক বজায় রাখা অপরিহার্য। কিন্তু ভারতের সাথে বাংলাদেশের এমন কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো খুবই জটিল। সেক্ষেত্রে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের কথা মাথায় রেখে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে বাংলাদেশকে সামনের দিকে পা বাড়াতে হবে।
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক রচনা pdf

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক pdf download করুন

  • বাংলা প্রবন্ধ রচনা/অনুচ্ছেদের নামঃ ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক,
  • ফাইল ফরম্যাটঃ pdf download(পিডিএফ ডাঊনলোড),
  • ক্যাটাগরিঃ Bangla Rochona pdf(Rachona),
  • ধরুন- পয়েন্ট আকারে রচনা,
  • Total word: 200, 300, 400, 500, 800, 1000, 1500 শব্দ,
  • ক্লাসঃ class 6, 7, 8 ,9 10, 11, 12,
  • Psc(প্রাইমারি স্কুল), JSC(হাই স্কুল), SSC(এস এস সি), HSC(এইচ এস সি), fazil(ফাজিল), kamil(কামিল) hons, degree
এই বাংলা রচনার pdf পেতে এখানে দেখতে পারেন।


FAQ About ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক

Question1: রচনাটির কেমন?
Answer1: ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক পড়ে রচনাতে পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ভাল করা সম্ভব।


Question2: ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এর পিডিএফ কি এখানে পাওয়া যাবে?

Answer2: জি, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক রচনাটি PDF সহ সম্পুর্ন এখানে পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button