বাংলা রচনা বই PDF কালেকশন - Bangla Rochona for class 5, 6,7,8,9,10
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও তার প্রতিকার রচনা (পয়েন্ট আকারে ৮০০ শব্দ) for All Class
২০০-৩০০, ৫০০, ৮০০, ১০০০ শব্দ পয়েন্ট আকারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও তার প্রতিকার রচনা pdf আকারে সম্পূর্ন এখানে পাবেন। আশাকরি, ৫ম, ৬ষ্ঠ, তম, ৮ম, ৯ম, ১০ম শ্রেণি ও JSC, SSC, HSC রচনা প্রতিযোগিতায় ভাল ফলাফল পেতে ও বিজয় পেতে এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও তার প্রতিকার Bangla Rochona পিডিএফ ডাউনলোড করার মাধ্যমে এই পোস্ট আপনাকে হেল্প করবে।
Contents
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও তার প্রতিকার রচনা বিস্তারিত
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও তার প্রতিকার রচনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ
↬ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও তার প্রতিক্রিয়া ↬ পণ্যমূল্য বৃদ্ধি ও তার প্রতিকারভূমিকা + বর্ণনা :
প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় আমাদের অনেক কিছু প্রয়োজন হয়। তার মধ্যে বাসস্থান, বস্তু সামগ্রী এবং খাদ্যদ্রব্য প্রধান। কিন্তু বাসস্থানের মত বর্তমানে মধ্যভিত্ত ও নিম্নবিত্তদের নিকট যে সমস্যা প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটা হলে ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। স্বধীনতার পর সিকি শতাব্দী পার হলেও এদেশের ৮০ শতাংশ মানুষের অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য আসে নি। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দামের ঊধ্বগতিতে জনজীন পর্যুদস্ত হয়ে উঠছে। চাল, ডাল, তেলের মতো অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যাদির মূল্য নিত্যই বাড়ছে। গ্রামের দরিদ্র কৃষক ও ভূমিহীন শ্রমিক কোনোমতে দুমুঠো খেয়ে জীবনধারণ করে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনে তাই এক বিরাট সমস্যা। দ্রব্যমূল্য দৃদ্ধির স্বরূপ : আমাদের দেশের দুর্বল অর্থনীতিতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এখন আর কোনো ‘বিশেষ সংবাদ’ নয় বরং স্বতঃসিদ্ধ একটা নিত্য সত্য। বাংলাদেশে চাল, ডাল, তেল ইত্যাদি দ্রব্যের দাম যে কত বার বেড়েছে তার হিসাব কেউ জানে না। এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে সমাজের মুষ্টিমেয় সুবিধাভোগী ও বিত্তবান মহল ছাড়া বাকি সবাই জর্জরিত ও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বিশেষ করে সমাজের দারিদ্র্যপীতিত অংশের ওপর তার আঘাত চরম হয়ে উঠছে। দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধির কারণ : দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অনেক কারণ রয়েছে। যেমন : (১) চাহিদা ও যোগান : দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্যহীনতা। চাহিদা তীব্র ও সরবরাহ সীমাবদ্ধ হলে পণ্যের জন্যে ক্রেতার ভীড় বেড়ে যায়। পণ্য সংগ্রহের জণ্যে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। ফলে অনিবার্যভাবে মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। (২) জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও উৎপাদন ঘাটতি : আমাদের দেশে যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছে সে হারে উৎপাদন বাড়ছে না। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে চাহিদা বাড়ছে কিন্তু উৎপাদন ঘাটতির কারণে যোগান হচ্ছে অপ্রতুল। চাহিদা ও যোগানে ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। ফলে দাম বেড়েই চলেছে ক্রমাগতভাবে। (৩) অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি : আকস্মিক কৃত্রিম মূল্যবৃদ্ধিতে মজুতদার, মুনাফাখোর, ফটকাবাজ, চোরাচালানি ইত্যাদি অসাধু ব্যবসায়ীদের স্বার্থান্বেষী ভূমিকা থাকে। এরা সুযোগ বুঝে হঠাৎ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাজার থেকে গায়েব করে গোপনে মজুত করে এবং বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে শুরু হয় কালোবাজারি। পণ্যের জন্যে হা-হুতাশ শুরু হলে এই সুযোগে তারা দাম বাড়ায় এবং অল্প অল্প করে গোপন মজুত বাজারে ছাড়ে। এভাবে তারা বিপুল টাকা চোরাপথে হাতিয়ে নেয়। (৪) চোরাচালানি : চোরাকারবারিরা অতিরিক্ত মুনাফার আশায় অনেক সময় দেশের পণ্য বিদেশে পাচার করে দিলে বাজারে পণ্যের সরবরাহ কমে যায় ও পণ্য মূল্য বাড়ে। (৬) কর বৃদ্ধি : অনেক সময় সরকারের মাথাভারি, দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসন চালাতে গিয়ে সরকারকে জনগণের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপাতে হয়। সে কর প্রত্যক্ষ হোক, কিংবা ভ্যাটের আকারে হোক তার ফলে পণ্যের দাম বাড়ে। এই জন্যে দেখা যায়, বাজেটে কোনো পন্যের কর বৃদ্ধির প্রস্তাব থাকলে তার মূল্য রাতারাতি বেড়ে যায়। (৭) কালো টাকার দৌরাত্ম্য : নানা অবৈধ পন্থায় সমাজে এক শ্রেণীর লোক বিস্তর কালো টাকার মালিক হয়েছে। কালো টাকার বদৌলতে তাদের ক্রয় ক্ষমতা সাধারণ লোকের তুলনায় অস্বাভাবিক বাড়ে। এই কালো টাকা পণ্যমূল্য রেখাকে সহজেই জনসাধারণের ক্রয়-ক্ষমতার নাগালের বাইরে নিয়ে যায়। জাতীয় অর্থনীতিতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ ও নীতি শিথিল হলে এবং আমলাতন্ত্র দুর্নীতিতে লিপ্ত হলে কালো টাকা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয় না। এর অবধারিত পরিণতি পণ্যমূল্য বৃদ্ধি। (৮) চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি : আমাদের দেশে রজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও প্রশাসনিক দুর্নীতির সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণীর চাঁদাবাজ ঘাটে ঘাটে জবরদস্তিমূলকভাবে পরিবহন সেক্টর থেকে ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অবৈধ চাঁদা তুলছে। স্বানীয় মাস্তান, প্রতিপত্তিশালী সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ পুলিশ- সাবাই চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হওয়ায় তার অশুভ প্রভাব পড়ছে পণ্যমূল্যের ওপর। (৯) সংরক্ষণ, সরবরাহ ও বণ্টনে অব্যবস্থা : আদেরদের দেশে রাজনৈতিক, সামাজিক অস্থিরতার কারণে পরিবহন ধর্মঘট, শ্রমিক ধর্মঘট, রাস্তাঘাট অবরোধ ইত্যাদি নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার ওপর পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা, বণ্টন ব্যবস্থার ক্রুটির ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়। উন্নত রাস্তাঘাট, নিশ্চিত যাতায়াত ও পরিবহনের মাধ্যমে প্রয়োজনানুসারে নির্দিষ্ট দ্রব্য নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দিলে জনগণকে এ অনাকাঙ্ক্ষিত বর্ধিত দ্রব্যমূল্যের স্বীকার হতে হয় না। (১০) বিশ্ব বাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি : পণ্যমূল্য বৃদ্ধি কেবল বাংলাদেশের একক সমস্যা নয়। আশেপাশের দেশ এমন কি আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মান প্রভৃতি উন্নত দেশও এসমস্যা মোকাবেলা করছে। এক অর্থে এ এক আন্তর্জাতিক সমস্যা। এর ফলে আমাদের দেশেও আমদানিকৃত পণ্যের দাম বাড়ছে। উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের দেশের পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কিছুটা পার্থক্য আছে। এদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ দারিদ্র্যপীড়িত। তাই পণ্যমূল্য বৃদ্ধিতে তাদের জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। পণ্যদ্রব্য বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়া : পণ্যদ্রব্য বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। আমাদের দেশে অধিক দামে ক্রয় করার সামর্থ্য আছে মুষ্টিমেয় লোকের। তাই যেসব কারণে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে তার প্রভাব সবটাই বৃহদাংশ জনগণের ওপর পড়ে। অধিক ব্যয় করার সামর্থ্য এদেশের অধিকাংশ জনগণেরই নেই। ফলে বাধ্য হয়ে ব্যয় কমাতে হয়। অনেক সময় দেখা যায়, বেঁচে থাকার তাগিদে অপরিহার্য উপকরণ সংগ্রহ করতেই তারা হিমশিম খেয়ে যায়। সাধারণ মানুষের জীবনধারণে খরচ বেড়ে যাওয়ার ফলে নেমে যাচ্ছে জীবনধারণের মান, কমছে শিক্ষা ও সংস্কৃতির মান। এর প্রভাব পড়ছে শিশুদের ওপর। শিশুরা উপযুক্ত যত্নের অভাবে পুষ্টিহীনতায় ভোগে। আর্থিক সংকটের ফলে ছাত্রছাত্রীদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বাড়তি আয়ের জন্যে অনেকে অবৈধ উপার্জনের দিকে মনোযোগী হয়ে পড়ে। সমাজে সৃষ্টি হয় নানা অবক্ষয়। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিকার : দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির এই ঊধ্বগতি রোধ করার জন্যে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এর জন্যে প্রথমেই দরকার, সরকারের সদিচ্ছাপ্রসূত বাস্তব পরিকল্পনা। দ্বিতীয় ও অপরিহার্য করণীয় হচ্ছে পণ্যসামগ্রীর চাহিদা ও যোগানের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার ব্যবস্থা করা। এ জন্যে দেশের কৃষি শিল্পের উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং আমদানি-রপ্তানি উন্নতি করতে হবে। দেশের উৎপাদন-ব্যবস্থার পুরোপুরি সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পণ্যবাজারের ওপর সরকারের সজাগ দৃষ্টি রাখা দরকার যেন অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম চাহিদা সৃষ্টি করে খেয়াল-খুশিমত জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেদার মুনাফা লুটতে না পারে। কালো টাকা উদ্ধারের ব্যবস্থা করতে হবে যেন তা পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ হয়ে না দাঁড়ায়। আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত হরতাল, ধর্মঘট, অবরোধ ইত্যাদি চলছে। ফলে উৎপাদনের হার অনেক কমে যাচ্ছে। সরবরাহ ক্ষেত্রে সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। রাজনৈতিক সহনশীলতা ও সমঝোতা সৃষ্টি করে এই সমস্যা লাঘব করা দরকার। এছাড়াও চোরাচালান ও চাঁদাবাজি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে। বাজারের পরিস্থিতি যাতে সরকারের সদা নখদর্পণে থাকে সেজন্যে নিয়মিত পরিদর্শনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। দুর্নীতির লাগামহীন ঘোড়াকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এই সব পদক্ষেপ নেওয়া হলে পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব।উপসংহার :
বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে যেভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে তার সঠিক প্রতিরোধ আজ আর বাংলাদেশের পক্ষে এককভাবে সম্ভব নয়। তারপরও যেটুকু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনা যায় তা যেকোনো মূল্যেই করতে হবে। আর এই জন্যে প্রয়োজন উৎপাদন শিল্পের প্রসার এবং অকৃত্রিম দেশপ্রেম।দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও তার প্রতিকার pdf download করুন
- বাংলা প্রবন্ধ রচনা/অনুচ্ছেদের নামঃ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও তার প্রতিকার,
- ফাইল ফরম্যাটঃ pdf download(পিডিএফ ডাঊনলোড),
- ক্যাটাগরিঃ Bangla Rochona pdf(Rachona),
- ধরুন- পয়েন্ট আকারে রচনা,
- Total word: 200, 300, 400, 500, 800, 1000, 1500 শব্দ,
- ক্লাসঃ class 6, 7, 8 ,9 10, 11, 12,
- Psc(প্রাইমারি স্কুল), JSC(হাই স্কুল), SSC(এস এস সি), HSC(এইচ এস সি), fazil(ফাজিল), kamil(কামিল) hons, degree
FAQ About দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও তার প্রতিকার
Question1: রচনাটির কেমন?
Answer1: ইন্টারনেট হতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও তার প্রতিকার টি কালেক্ট করে পরীক্ষায় ৩-৪ পৃষ্ঠার এর মত।
Question2: দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও তার প্রতিকার এর পিডিএফ কি এখানে পাওয়া যাবে?
Answer2: জি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও তার প্রতিকার রচনাটি PDF সহ সম্পুর্ন এখানে পাবেন।