বই রিভিউ ও ডাউনলোড

প্রথম সরকারের ইতিকথা এম আর আখতার মুকুল

বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ দেখুন- প্রথম সরকারের ইতিকথা এম আর আখতার মুকুল

পরিচিতি: এম আর আখতার মুকুল
এম আর আখতার মুকুল.jpg
জন্ম
এম আর আখতার মুকুল

৯ আগস্ট ১৯৩০

চিংগাশপুর গ্রাম, মহাস্থান, বগুড়া
মৃত্যু ২৬ জুন ২০০৪ (বয়স ৭৩)

ঢাকা
নাগরিকত্ব  ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
 পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
 বাংলাদেশ
পেশা সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক
পরিচিতির কারণ মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের চরমপত্রের পরিচালক, লেখক ও কথক[১]
সন্তান
  • কবিতা পারভেজ

(কন্যা)

পুরস্কার স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার

এম আর আখতার মুকুল (৯ আগস্ট ১৯৩০ – ২৬ জুন ২০০৪) একজন বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা যিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রচারিত স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের চরমপত্রের পরিচালক, লেখক ও কথক ছিলেন।[২] ‘চরমপত্র’ অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপক সাহস, উৎসাহ-উদ্দীপনা ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল৷

সাংবাদিকতা ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ২০০১ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকার থেকে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার লাভ করেন। তিনি একজন কলামিষ্ট৷ তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩৫টি৷

Contents

এম আর আখতার মুকুল প্রাথমিক জীবন 

এম আর আখতার মুকুল এর শিক্ষাজীবন শুরু হয় ময়মনসিংহে। তিনি সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে পড়েন।তার বাবা সরকারি চাকরি করার কারণে তারা দিনাজপুর চলে আসেন এবং ১৯৪৫ সালে দিনাজপুর মহারাজা হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। তিনি দিনাজপুর রিপন কলেজ (ব্রাঞ্চ) থেকে আই এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৯৪৭ সালে৷ ছাত্রজীবনেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ায় তিনি ১৯৪৮ সালে জননিরাপত্তা আইনে কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন এবং ১৯৪৯ সালে জেলখানা থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামী হিসেবে পরীক্ষা দিয়ে স্নাতক পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করেন৷ ১৯৫০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন ক্লাসে ভর্তি হন এবং ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন৷[৩] ১৯৫২ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বৈঠকের সময় যে ১১ জন ছাত্রনেতা উপস্থিত হন তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম ছিলেন। অন্যান্যরা ছিলেন ভাষাসৈনিক গাজীউল হকমুহম্মদ হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ সুলতানা, জিল্লুর রহমান, আব্দুল মোমিন, এস এ বারী এটি, সৈয়দ কামরুদ্দীন হোসেইন শহুদ, আনোয়ারুল হক খান, মঞ্জুর হোসেন, আনোয়ার হোসেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় এম আর আখতার মুকুল সাংবাদিকতা পেশায় যোগদান করেন৷ সাপ্তাহিক ‘নও বেলাল’, ‘পাকিস্তান টুডে’, দৈনিক আমার দেশ ও দৈনিক সংবাদ ইত্যাদি পত্রিকায় তিনি কাজ করেন। ১৯৫৩ সালের ২৫শে ডিসেম্বর ইত্তেফাকের জন্মলগ্ন থেকে ১৯৬০ সালের জুলাই পর্যন্ত এই পত্রিকায় রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেন৷ ১৯৬১ সালের শেষের দিক থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এম আর আখতার মুকুল আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা ইউডিআই-এর ঢাকাস্থ সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন৷ একই সঙ্গে তিনি ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত দৈনিক পত্রিকায় এবং পরে দৈনিক পূর্বদেশেও চাকুরী করেন৷ এম আর আখতার মুকুল ১৯৭১ সালে প্রবাসী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে যোগদান করে তথ্য ও প্রচার দপ্তরের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷ ১৯৭২ সালের জুলাই মাসে তিনি বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান৷ ১৯৭৫ সালের ১লা জানুয়রি তিনি লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রেস কাউন্সিলর হিসেবে যোগ দেন৷ ১৯৭৯ সালের শেষের দিকে এম আর আখতার মুকুল দেশে ফিরে আসেন এবং বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হিসেবে যোগদান করেন৷ ১৯৮৭ সালের আগস্ট মাসে তিনি সরকারি চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেন৷[৩]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে মুকুলের কবর

তিনি ক্যান্সারে ভুগছিলেন। দীর্ঘদিন রোগভোগের পর ২০০৪ সালের ২৬ জুন মৃত্যুবরণ করেন।[৪]

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। কবিতা পারভেজ নাম্নী এক কন্যা রয়েছে।

এম আর আখতার মুকুল প্রকাশিত গ্রন্থ

  • চল্লিশ থেকে ’৭১
  • বায়ান্নর জবানবন্দি
  • একুশের দলিল
  • শতাব্দীর কান্নাহাসি[৫]
  • আমি বিজয় দেখেছি
  • একাত্তরের বর্ণমালা
  • মহাপুরুষ
  • জয় বাংলা
  • ওরা চার জন
  • বিজয়’৭১
  • কোলকাতা কেন্দ্রিক বুদ্ধিজীবী
  • চরমপত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button