বই রিভিউ ও ডাউনলোড
কুটু মিয়া Pdf Download By Humayun Ahmed
কুটু মিয়া – হুমায়ূন আহমেদ – Kutu Mia Bengali Horror Story By Humayun Ahmed PDF
বইয়ের নাম: | কুটু মিয়া |
লেখকের নাম: | হুমায়ূন আহমেদ |
প্রকাশনী: | অন্যপ্রকাশ |
ISBN | 98481601690 |
Edition | 8th Printed, 2007 |
Number of Pages | 112 পৃষ্ঠা |
Country | বাংলাদেশ |
ফাইল ফরম্যাট: | epub, MOBI, Pdf free Download(পিডিএফ ডাউনলোড) |
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও বর্তমানে লেখক আলাউদ্দিন সাহেবের বাসা থেকে যখন একের পর এক চাকর চলে যাচ্ছিল তখনই তার বাড়িতে প্রথম আসে কুটু মিয়া। নামটা যেমন তার অদ্ভূত, স্বভাব চরিত্র আর রান্নাও তার অদ্ভূত। শুরুতে আলাউদ্দিন সাহেব কুটু মিয়াকে রাখতে না চাইলেও প্রথমবার তার রান্না খেয়েই মুগ্ধ হয়ে যান তিনি। ফলে চাকরি পাকা হয় কুটুর।
কুটু মিয়ার জাদুকরী রান্না আলাউদ্দিন সাহেবকে মুগ্ধ করতেই থাকে। কিন্তু অচিরেই আলাউদ্দিন সাহেব লক্ষ্য করেন কিছু আজব ব্যাপার। তার মনে হতে থাকে রাতে তার বিছানার নিচে যেন কিছু লুকিয়ে আছে! ফলে অদ্ভূত আর ভয়াবহ সব স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন তিনি। এদিকে দিন দিন কুটু মিয়ার রান্নার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন তিনি। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে যখন আলাউদ্দিন সাহেবের দেহে পোকাভর্তি ফোসকা উঠতে শুরু করে, তার
স্ত্রী নিজের পছন্দের সব খাবার পেতে থাকেন অপ্রত্যাশিতভাবে, আলাউদ্দিন সাহেবের পরিচিত কিছু লোকের উপর আক্রমণ করে হিংস্র কুকুর।
রহস্য কি কুটু মিয়ার? তার রান্নায় এমন কি আছে যা সবাইকে মন্ত্রমুগ্ধ করে? তার মালিকদের দেহে পোকাভর্তি ফোসকার-ই বা রহস্য কি? কুকুরগুলো হঠাৎ মানুষকে আক্রমণ শুরু করল কেন?
সেদিন বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় রাঁধুনি চরিত্রদের নিয়ে এক মিম শেয়ার করার পর বইটা সম্পর্কে প্রথম জানতে পারি। মন্তব্যকারীর মতামত ছিল বইটা পড়লে কুটু মিয়ার শরবতের প্রেমে পড়ে যাব! সত্যি বলতে, কুটুর শরবতের প্রেমে পড়েই গিয়েছি! যে শরবত আলাউদ্দিন সাহেবের এক গ্লাসে হয় না, এক জগ বা এক বালতি না হলে চলেই না সেটার প্রেমে পড়া আর অসম্ভব কি! তবে, শেষদিকে সব রহস্য জানার পর শরবত খাওয়ার যে আর কোনো ইচ্ছেই থাকবে না সেটা বলাই বাহুল্য!
বইটাকে ভৌতিক উপন্যাস বলা যেতে পারে। আবার অন্যদিক থেকে রহস্য উপন্যাসও বলা যেতে পারে। বইটা পড়ার পর আজ রাতে যে করাত দিয়ে নখ কাটা কুটু মিয়াকে বিছানার নিচে পাব সেটা ভাবতেই পশম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে! শেষদিকের টুইস্টটা ভালোই ছিল। তবে বইটা শেষ করার পর একটা অতৃপ্তি থেকে যায়। সব রহস্যের যেন সমাধান হলো না শেষে গিয়ে। কেনই বা সে রাঁধুনি হলো বা তার মালিকদের পরিণতি কেনই বা এমন হয় সেই মৌলিক প্রশ্নেরও উত্তর যেন পেলাম না।
সবমিলিয়ে বলতে গেলে, স্বভাবসুলভ হুমায়ূনীয় ভঙ্গিতে লেখা মোটামুটি একটা বই। মোটের উপর বইটা খুব বেশি ভালো না লাগলেও কুটু মিয়া চরিত্রটা যে অনেকদিন মনে থাকবে সেটা অস্বীকার করার অবশ্য কোনো উপায় নেই।