খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বই Pdf download (New)
প্রথমবার আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বই Pdf download
কখনও সরাসরি কাউন্সেলিং করে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে সাধারণ মানুষেরা
তাকে ফোন করে, চিঠি লেখে। কেউ সরাসরি দেখা করে তীর পরামর্শচায়। কী করে ব্যক্তিগত
সঙ্কট থেকে উদ্ধার পাব, কী করে মানুষ হব, কী করে অবসাদ থেকে মুক্তি পাব, কী করে দুঃখ
জয় করব। তিনি বলেন তার দীর্ঘ ৭০ বছরের জীবনের অভিজ্ঞতার সঙ্গে মনোবিজ্ঞানের
সাধারণ জ্ঞান মিশিয়ে। তত্বকথা নয় সাধারণ মানুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ আলাপচারিতার ছলে।
উপদেশ নয়, জ্ঞান নয়, হিতৈষীর সুপরামর্শ সেসব। ড. চট্টোপাধ্যায়ের সানিধ্যে এসে আমার
জীবন ধারা পালটে যেতে শুরু করে। আমি নিজে ম্যাজিক দেখিয়ে দর্শকদের তাক লাগিয়ে
‘দিই। কিন্ত তার ব্যক্তিত্বের ম্যাজিকে আমি নিজের অজান্তেই নিজেকে বদলে ফেলেছি। আমি
এখন পরিণত। আর অবিন্যস্তভাবে ছন্নছাড়া নই। আমি থিতু হয়েছি। স্ত্রী কন্যা ও আমার
পেশার মধ্যে নিজেকে নিয়োজিত করেছি। এখন আমি পৃথিবীকে দেখি বাস্তব দৃষ্টিতে কিন্তু
পজিটিত দৃষ্টিকোণ থেকে। কারণ বাস্তবই পজিটিভ। পজিটিভই বাস্তব।
এখন মুখিয়ে থাকি কবে ড. চট্টোপাধ্যায়ের নতুন বই বেরুবে। তীর প্রতিটি নতুন বই-এর
প্রথম ক্রেতা আমি।
এখন তীর পাঠকের সংখ্যা দেশজুড়ে। প্রতি বছর তিনি যে পাঠক সম্মেলন করেনু তাতে
কত দূর দূর. থেকে ছেলেমেয়েরা নিজের পয়সা খরচ করে ও রীতিমতো টাদা দিয়ে তাতে
যোগ দিতে আসে।
বয়স তাকে কর্মরান্ত করেনি। সাধারণ মানুষের বয়স যত বাড়ে মানুষ তত খিটখিটে ও
ঘরকুনো হয়ে পড়ে । কিন্ত এই বয়সে তিনি-চঢষ-ফেলছেন সারা দুনিয়া। কখনও শুনি চলে
গিয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, কখনও নাগাল্যান্ত আবার কখনও হৃষিকেশ ছাড়িয়ে দেব প্রয়াগ
কিংবা হিমাচল প্রদেশের সোলন। এমনকী জীবনবাদী কর্মশালা করার জন্য দক্ষিণ চাতরা,
দত্তপুকুর, আমতলা কিংবা মেচেদাঁ থেকে ডাক এলেও তিনি ছুটে যান সেখানে। চার পাঁচ
ঘণ্টা এক নাগাড়ে বন্তৃতা করার পর আবার সেদিনই কলকাতায় ফিরে লিখতে বসেন।
হ্যা বইটি তিনিই লিখতে পারেন। তিনিই বলতে পারেন “হতাশ হবেন না”। বলতে
পারেন “নিজেকে নিজে বদলাবার’ কথা। কারণ সহকর্মী ও আপনজনদের কাছ থেকে চরম
অবমাননা, শৈশবে ও কৈশোরে দুঃসহ দারিদ্র্য ভোগের মধ্য দিয়ে কেটেছে তার জীবন।
স্কুল কর্তৃপক্ষ । শেষ পর্যন্ত শোওয়ার খাট বিক্রি করে বাবা স্কুলের বকেয়া বেতন মিটিয়েছেন।
আবার সেই ইস্কুলই পরবর্তীকালে তাকে কৃতী ছাত্র বলে সংবর্ধনাজানিয়েছে। স্বাধীন মতামতও
ব্যক্ত করা ও অন্যায়ের সঙ্গে আপস না করার জন্য তীর কর্মজীবন ছিল নিরন্তর শরশয্যার
মতো। চারবার চাকরি ছাড়তে হয়েছে তীকে-স্বেচ্ছা নির্বাসন নিয়ে চলে যেতে হয়েছে
ইন এ ভিলেজ” বলে।
“হ্যা বইটি লেখার সময় আমি পাগুলিপিটি পড়েছি। অতি সহজ ভাষায় তিনি ইতিবাচক
জীবনবোধের কথা বলেছেন। সবাই যখন ভাঙনের জয়গান গাইছে তখন একজন বাঁশিওয়ালাও
তো হ্যামলিন শহরে আছে এখনও।
আশিস কুমার জোদু শিল্পী)
Nutrition and Health Bengali Book PDF – খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বই pdf download লিংক-