All Bangla Book Pdf free DownloadMohammad Nazim Uddin All Pdf Book Download

বাঘবিধবা by কিঙ্কর আহ্‌সান Pdf Download

baghbidhoba kingkor ahsan pdf book free download – বাঘবিধবা by কিঙ্কর আহ্‌সান Pdf Download:

বাঘবিধবা by কিঙ্কর আহ্‌সান Pdf Download

ফিলিম্মককানন  [র।  বড়ো গাছটা নুয়ে পড়েছে একদম পাশের গাছটার ওপর। জড়িয়ে  ধরেছে। সে কী অং একটা ছেলে  স্তরঙ্গতা! গাছ। আরেকটা  মেয়ে  ৷ ছেলেটার নাম রাখা হয়েছে     চিত্রনায়ক আলমগীরের নামে । লম্বা, 1র জোরালো সবুজ পাতা দেখে সমীহ করতে ইচ্ছে করে । তা এমনভাবে কাটা হয়েছে যে গাছটা থেকে একটু দূরে  শক্তিশালী ডাল আ ডালগুলো আর প        চওড়     একটা গাছ। স্বাস্থ্যও ভালো ।     গিয়ে দাড়িয়ে পুরোটা দেখলে মানুষের অবয়ব বলে মনে হয় । মনে হয় আস্ত একটা মানুষ একটু নুয়ে পাশের আরেকটা গাছ জড়িয়ে ধরেছে ।

ডালগুলো     যেন মানুষের হাত! এই গাছের যত্ব যিনি নিয়ে থাকেন, তিনি শিল্পী বটে! শাবানা-আলমগীরের গাছের ঠিক পাশেই নাইম-শাবনাজ। তারা কম বয়সের নায়ক-নায়িকা । চক্ষুলজ্জা একটু কম। একদম গায়ে-গায়ে লেগে থাকা দুটো গাছ। এত প্রেম! মুরব্বিরা কী বলবে! এসব নিয়ে মাথা ব্যাথা   নেই এই নায়ক-নায়িকার। খোলা আকাশের নিচে এই ফিলিম কাননে তাদের গভীর প্রেম চলছে।  কথা হচ্ছিল ফিলিম কানন নিয়ে । নুরাইনপুর বাজার থেকে সোজা গিয়ে ধুলিয়া নদীর মোহনা থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে ফিলিম কানন। দেড় বিঘা জমির ওপর বাগান। নানান রকম গাছ। প্রতিটা গাছের নাম নায়ক- নায়িকার নামে । তাদের নানান রকম রংঢং। সিনেমার এক একটা দৃশ্য যেন। দেখার মতো অবস্থা। অনেক লোকজন আসে দেখতে এই পাগলামি ।  ফিলিম কাননের মালিক বজলু বিশ্বাস এই ভিড় পছন্দ করেন না, কিন্ত আটকানোর উপায় নেই যে!  মানুষ তামাশা পছন্দ করে।

বাঘবিধবা কিঙ্কর আহ্‌সান
বাঘবিধবা কিঙ্কর আহ্‌সান

চিত্রনায়ক-চিত্রনায়িকাদের কাছ থেকে দেখার সুযোগ নেই এই মানুষগুলোর । নায়ক-নায়িকার স্বাদ তাই গাছে মেটাতে এখানে আসে সবাই । হুড়মুড়িয়ে ঢোকে বাগান এলাকায় । গাছ নষ্ট হয়। একটু বড়ো গাছের আড়াল পেলে নির্জনে কচি বয়সের প্রেমিক- প্রেমিকারা ভালোবাসায় ডুব দেয়। টুকটাক শরীরের হাতছানি থাকে । তওবা তওবা!  সরকারি লোকজনও আসা- করে। ঢাকা থেকে বড়ো কর্তারা এলে বিশেষ ব্যবস্থা থাকে । কর্তাদের চ্যালারা বজলু বিশ্বাসের হাতে টাকা দিয়ে বলে, “ভালো কইরা বাজার-সদাই করবা । দেশি মুরগি আর আলু দিয়া ঝাল ঝাল কইরা সালুন রানতে কও । মাছ লাগবো । পাঁচ-ছয় রকমের ভর্তা । গ্রাম্য খাওন খাইবো স্যারের পরিবার | খুব খিয়াল রাইখো। নইলে বিপদ! বড়ো কর্তারা পরিবার নিয়ে আসেন । বজলু বিশ্বাসের ফিলিম কানন দেখে মুগ্ধ হন। গাছের চিপাচুপায় হাত রেখে ছবি তোলেন । ফিলিম কাননে দুই-চাইরটা সাপ আছে বলে বিশ্বাস বজলু বিশ্বাসের তারা যে কেন এই ঢ্যামনা লোকগুলারে দংশন করে না- বোঝে না সে! সাপও মনে হয় বড়ো কর্তা বিষয়টা বোঝে । মানুষ দংশন করে স্ট্যাটাস দেখে । শালার সাপ!  বজলু বিশ্বাসের মেজাজ খারাপ হয়। তিনি পালিয়ে বেড়াতে চান। মানুষের ভিড় এড়াতেই এই বাগান করা হয়েছিল। গাছের সাথে, নিজের ভেঙে যাওয়া স্বপ্নের সাথে এই সময় কাটানোর চেষ্টা আর কি! সেটা হলো কই?  দুনিয়ার মানুষ বাগান দেখতে আসছে।

এলাকার কেউ কেউ বজলু বিশ্বাসকে টিকেট কেটে লোক ঢোকানোর বুদ্ধি দিয়েছে। আয়ের একটা ব্যবস্থা হবে এতে! ভিড় বজলু বিশ্বাসের কখনও ভালো লাগতো না তা নয়! বরং সে বরাবরই চেয়েছে তার চারপাশে ভিড় থাকুক। জোয়ান বয়সে তেলে ডুবানো হবো নায়করাজ । এক নজর দেখার লাইগা দুইন্নার মানুষ ভিড় করবে । আমার অভিনয়ে হবে সব কুপোকাত । দেইখো মিয়ারা। দিন আসতাছে। আসতাছে।’ দিন আর আসেনি! অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময়েই বখে গিয়েছিল বজলু বিশ্বাস। বখে যাওয়া বলতে মাথায় ঢুকেছিল সিনেমার পোকা । বাড়ি থেকে মাইলখানেক দূরে ছিল বাউফলের মতিহার সিনেমা হল। স্কুল পালিয়ে সেখানে চলে যেত সে । মুখোশ, রঙিলা প্রেমিক_ এমন অনেক সিনেমা দেখা হয়েছে সেখানে । জীববিজ্ঞান বই বাদ দিয়ে কবরী-ববিতাকে পড়তে বেশি ভালো লাগতো তার। ত্রীড়াশিক্ষকের লক্ষবাম্পের_চেয়ে রাজ্জাকের আ্যাকশন দৃশ্য বেশি টানতো তাকে। সব সময় মাগ্জামরে চলতো বজলু বিশ্বাস। ধোয়া পোশাক, গলায় সোনার মতন দেখুঁত! নকল চেইন, ফোড়ানো কান, কান ঢেকে ফেলা লম্বা তেলে ডোবানো চুল তাকে আর সবার থেকে আলাদা করতো । শরীর থেকে ভুরভুর করে ঘ্রাণ আসতো তার । সব গন্ধ সাবানের তেলেসমাতি।

বাবার পকেট কেটে এইসব বিলাসিতা চলতো বজলু বিশ্বাসের। ধরা পড়ে মার কম খায়নি জীবনে । সিনেমার কাছে এইসব মারের ব্যাথা হার মানতো। তাকে তখন রাজ্জাক, আলমগীর, সোহেল রানার ভূতে ধরেছে। তাদের মতন করে বড়ো অভিনেতা হতে চায় বজলু বিশ্বাস। অমন খ্যাতি আর অর্থ প্রয়োজন। একদিন হবে । সব হবে তার। সেদিন নিজের বাপটাকে আচ্ছামতন শিক্ষে দেওয়া যাবে! বুঝবে ঠ্যালা! অভিনেতাদের শুরুর জীবন একটু কষ্ট্রেরই হয়। অনেক সংগ্াম করতে হয়। তাই মন খারাপ হলেও নিজের কাছেই দুঃখটা লুকায় বজলু বিশ্বাস। মেন্রিক পাশের পর বাবা আর গ্রামের বাড়িতে রাখেন না তাকে । এই ছেলের পড়াশোনা হবে না বোঝাই যায়। ঢাকায় গিয়ে কাজ শিখুক তবে! ইসলামপুরে চাচার কাপড়ের দোকানে কাজ দেওয়া হয় বজলু বিশ্বাসকে । গ্রাম ছাড়তে পেরে দারুণ খুশি সে। আসার সময়ে বাবাকে .

কিঙ্কর আহ্‌সান এর বাঘবিধবা  বইটি কেমন লাগল জানাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button