Pdf বেগ বাস্টার্ড সিরিজ Download | Beg Bastard Series Pdf
Beg Bastard Series Pdf Download by Md NAZIM UDDIN – মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর বেগ বাস্টার্ড সিরিজ pdf download
বেগ বাস্টার্ড সিরিজের ৫টি বইয়ের নাম:
- নেমেসিস
- কন্ট্রাক্ট
- নেক্সাস
- কনফেশন
- করাচি
Contents
বেগ বাস্টার্ড সিরিজ pdf download করুন | All Beg Bastard Series পিডিএফ ডাউনলোড
- নিচে ক্লিক করে ডাউনলোড লিংকঃ-
- nemesis nazimuddin pdf download- nemesis bangla pdf
- Contract by Nazim Uddin pdf download- contract bangla book pdf
- Nexus by nazim uddin pdf
- Karachi by Nazim Uddin PDF
- Confession by nazimuddin pdf
নেক্সাস pdf download লিংক – Nexus by nazim uddin pdf
শীতের পড়ন্ত বিকেল, নরম হয়ে আসছে রােদের প্রকোপ কিন্তু নাফি হাজ্জাদেরগা পুড়ে যাচ্ছে। উত্তাপে নয়, তার গা পুড়ে যাচ্ছে ঈর্ষায়। উদভ্রান্তের মতােবলটা বার বার বাস্কেটে ছুড়ে মারছে কিন্তু একবারও পড়ছে না। রাগে ক্ষোভেশরীর কাঁপতে না থাকলে দশ বারের মধ্যে আটবারই বাস্কেটে পড়তে বলটা ।এই স্কুলের সবাই সেটা জানে । সেন্ট অগাস্টিনের সেরা বাস্কেটবল খেলােয়াড়সে। কিন্তু একটু আগে তার সেই স্বীকৃতিটা মারাত্মক হােচট খেয়েছে। সবারআরাধ্য যে অ্যাঞ্জেলস টিম, তার কোচ তাকে বাদ দিয়ে বেছে নিয়েছে এমনএকজনকে যার সাথে তার কোনাে তুলনাই চলে না। পুরাে ব্যাপারটার মধ্যেএকটা ঘাপলা আছে-নাফি একদম নিশ্চিত। কিন্তু সেটা কী, কাউকে বলেবােঝাতে পারছে না।অন্যসব দিনের মতাে স্কুল শেষে তারা বাস্কেটবল কোর্টে প্র্যাকটিসকরছিলাে, হঠাৎ লক্ষ্য করে একটু দূরে দাঁড়িয়ে ত্রিশাের্ধ এক ভদ্রলােক বেশআগ্রহভরে তাদের খেলা দেখে যাচ্ছে।
তাদের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলটা খুবইঅভিজাত, এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই কড়া, বাইরের লােকজন সহজেঢুকতে পারে না। একটু অবাক হয়েছিলো নাফি। তার সবচাইতে ঘনিষ্ঠ বন্ধুশুভকে ইশারা করে জানতে চেয়েছিলাে লােকটা কে। শুভ কাঁধ তুলেঅপারগতা জানায় কিন্তু পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি হবার পরও তাদের দলে সবচাইতেবেটে আর পরিশ্রমী হিসেবে পরিচিত ইফতি আগ বাড়িয়ে বলে ঐ লােকটাঅ্যাঞ্জেলস টিমের কোচ।অ্যাঞ্জেল্স!বাস্কেটবল খেলােয়াড়দের কাছে এই টিমের জনপ্রিয়তুঙ্গে। পরপর দু’বার ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন তারা। কথাটা শুনেইসঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যায় তার খেলার ভঙ্গি।আর কৌশলআছে দেখাতে শুরু করে সে। বেশ দূর থেকে বল করে বাস্কেটেও ফেলতেসক্ষম হয় বার কয়েক । বুঝুক, এই ত্রা খেলােয়াড়টা কে। তারবন্ধুদের মধ্যেও উৎসাহের কমতি ছিলাে। তারাও সচেতন হয়ে ওঠে। কিন্তুপাঁচ মিনিট পরই দেখতে পায় তুর্য নয়র ছেলেটাকে ডেকে ঐ কোচ ভদ্রলােকহয়ে ওঠে। কথা বলছে।তুর্য!
তুর্যও বাস্কেটবলটা ভালাে খেলে কিন্তু কোনােভাবেই নাফির সাথে তুলনাকরা যায় না তাকে। নাফি তাে নাফি, এমন কি শুভর সাথেও তাকে তুলনাকরাটা অন্যায়। বাস্কেটবল সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা আছে যার সে এ কাজকরবে না। কি উচ্চতায় কি টেকনিকে, তুর্য তাদের স্কুলে প্রথম তিনজনেরমধ্যেও আসে না। অথচ অ্যাঞ্জেলস টিমের মতাে চ্যাম্পিয়ন একটি দলের কোচকিনা তাকে ডেকে নিয়ে কথা বলছে।তার অন্য সঙ্গিরাও ব্যাপারটা ভালাে চোখে দেখে নি। তাদেরও রাগ হয় ।তবে দশ মিনিট পর সেই রাগ বিস্ময়ে পরিণত হয় যখন তুর্য এসে জানায়অ্যাঞ্জেলস টিমের কোচ তাকে দলে নিতে চাচ্ছে। আজই তাকে সাইনকরাবে। এসএসসি পরীক্ষা দেবার আগেই এরকম একটা সুযােগ পেয়ে গেলােছেলেটা! এই সুযােগ তাে পাবার কথা ছিলাে তার নিজের ।তুর্যের চোখেমুখে অহংকারের যে ছটা দেখতে পেয়েছে সেটা আরাে বেশিপীড়াদায়ক। ছেলেটা এমন ভাব করলাে, যেনাে সবাই তাকে হিংসা করুক।হিংসা করতে করতে কয়েক রাত দ্রিাহীন থাকুক তারা ।এরপর মন খারাপ করা বিকেলে একে একে সবাই নিজেদের বাড়িতেচলে গেলেও নাফি বাস্কেটবল কোর্টে একা রয়ে গেলাে । যাবার আগে তার বন্ধুদিপ্রাে সান্ত্বনা দেবার ভঙ্গিতে বলে গেছে, আজকে যখন অ্যাঞ্জেলস টিমেরকোচ এসেছে, এরপর নিশ্চয় ওদের রাইভাল টিমের কোচও আসবে প্লেয়ারহাস্ট করার জন্য। বাস্কেটবলের খেলােয়াড় তাে আর সবখানে পাওয়া যায় না।হাতে গােনা কয়েকটি অভিজাত স্কুল ছাড়া খেলােয়াড় পাবে কোথায়? নাফিঅবশ্য অভিমানের সুরে বলেছে, সে কোনাে রানার্সআপ টিমের হয়ে খেলবে। সে খেলবে চ্যাম্পিয়ন টিমের হয়ে। দিপ্রাে তারপরও দমে যায়নিক বন্ধুরকাঁধে হাত রেখে বলেছে, রানার্সআপ টিম যে কখনও চ্যাম্পিয়নব না সেটাকে বলেছে! আজব । মন খারাপ করার কী দরকার। এভৱিৰিং-উইলবি ওকে,দিােে যাবার আগে বলে গেছিলাে।দিােের অকাট্য যুক্তি শুনে গেছে নাফি, নি । তারপরও কিছুইভালাে লাগছে না তার। একা একা সারা কে বড়ে বেড়াচ্ছে।
বাস্কেটেঅনবরত বল ফেলছে, বাড়ি যাবার নাম নেই একটু আগে দাড়ােয়ান আজগরএসে অনেকটা বিরক্ত হয়ে বলে গেছে তাকে এখন চলে যেতে হবে। শালারঅজগরের বাচ্চা, আমাকে ঝাড়ি মারেবিকেল গড়িয়ে এখন প্রায় সন্ধ্যা। ক্লান্ত শ্রান্ত নাফি বলটা হাতে তুলেনিলাে। স্কুলের ব্যাগটা কাঁধে ঝুলিয়ে রওনা দিলাে বাড়ির দিকে। অন্যসব দিন৮নেক্সামহলে বলটা মাটিতে ড্রপ করতে করতে চলে যেতাে কিন্তু এখন মাথা নীচু করেস্কুল থেকে বের হয়ে গেলাে সে।আজকের দিনটা তার জন্যে পরাজয়ের। স্কুলে সবাই জানে বাস্কেটবলেরসেরা খেলােয়াড় সে, কিন্তু স্কুলের ছােট্ট গণ্ডি পেরিয়ে জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতিটাপেয়ে গেলাে এমন একজন যাকে দু’চক্ষেও দেখতে পারে না সে। সহপাঠীহলেও তুর্য নামের বদমাশটার সাথে তার কখনও বনে না । এই ছেলে সবসময় তার ক্ষমতাবান বাপের গরম দেখায়।মাত্র মােলাে বছর বয়সেই নাফি হাজ্জাদ এ সিদ্ধান্তে পৌছালাে যে, এইদেশে সত্যিকারের প্রতিভার কোনাে মূল্যায়ন হয় না। ফালতু লােকজন বসেআছে সব জায়গায়। তাদের নিজেদেরই যােগ্যতা নেই, তারা কীকরে যােগ্য লােক খুঁজে বের করবে?স্কুলের বড় গেটটার মধ্যে ছােটো যে গেটটা আছে সেটা দিয়ে উপুড় হয়েমাথা নীচু করে বের হবার সময় নিজেকে আরাে বেশি পরাজিত মনে হলােতার।
অধ্যায়ঃ ০১
আজ আবারাে দেরি করে ফেলেছে লালা। কাল রাতে একটু বেশিই পান করেফেলেছিলাে । পান করার ব্যাপারে কোনাে সময়ই তার লাগাম থাকে না। তবেপূর্ণিয়ার সাথে সারা রাত কাটানাের সময় মাত্রাজ্ঞান ঠিক রাখতে পারে নি।অকেজো স্বামীকে ঘরে রেখে মেয়েটা যখন চিরকুমার লালার ঘরে এসে ঢুকলােতখনই বুঝতে পেরেছিলাে আজ রাতে ঘুমের বারােটা বাজবে।রাত সাড়ে তিনটা পর্যন্ত সজাগ ছিলাে তারা। পূর্ণিয়া যে তাড়নায়এসেছিলাে সেটা চরিতার্থ হবার পর তাড়ি খেয়ে দু’জনে গল্প করেছে সারারাত । এখন এই সকালবেলায় বাধ্য হয়েই কাজে ছুটে আসতে হয়েছে ।ভেবেছিলাে শরীর খারাপের কথা বলে ডিউটি থেকে নাগা দেবে কিন্তু সেটাকরা সম্ভব হয় নি। এই মাসে দু’বার এই অজুহাতে নাগা করেছে সে।আজ শুক্রবার হলেও তাকে কাজ করতে হবে কারণ সুইপারদের কোনােছুটি নেই। মানুষ তাে আর ছুটির দিনে হাগা-মুত বন্ধ রাখে না। যদিও তাদেরস্কুলটা এদিন বন্ধই থাকে, সেদিক থেকে দেখলে শুক্রবারটা তার জন্যে ছুটিরদিন হতে পারতাে কিন্তু পরিহাসের বিষয় হলাে এই দিনেই বচাইতে বেশিকাজ থাকে। অন্যসব দিনে মােটামুটি সাফসুতরাে হলেই চলে কিন্তু শুক্রবারেপুরাে স্কুল-কম্পাউন্ডের সবগুলাে টয়লেট পরিস্কার করে মেনহােলগুলােতেবাখারি মেরে ক্লিয়ার করে রাখতে হয় ।স্কুলের মেইন গেট দিয়ে ঢুকতেই মুখােমুখি হলাে সাড়ােয়ান আজগরমিয়ার। তাদের মধ্যে সখ্যতা আর খুনসুটি দুটোই চলে । অসু-মধুর সম্পর্ক।তার দিকে ভুরু কুচকে চেয়ে আছে আজগর ।বললাে। “আরেকটু দেরি কইরা আইতেন, সমস্যা কি! নওয়াবগাে তাে একটু“আরে, ঢাকার নওয়াব লালা বাহাদুর যে,” আজগর মিয়া (আরাম-উরাম করনই লাগে, নাকি?”লালা কিছু বললাে না। চুপ থাকাই কোমর থেকে বিড়িরপ্যাকেটটা বের করে একটা বিড়ি তুলেমুখটা অন্তত কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকুক,৪াণযজগর মিয়ার হাতে। তার।“নিজে তাে সারা রাইত মাল আর আমারে দিতাছাে বালের এইহুগনা বিড়ি!”