double standard 2.0 pdf download
বইঃ ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ২.০ Pdf Download – double standard 2.0 pdf download free
লেখকঃ ডা. শামসুল আরেফীন
প্রকাশনীঃ সমর্পন প্রকাশন
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২৯৬
দামি জড়োয়া গহনার চেয়েও মোহনীয় অলংকার নারীর মাতৃত্ব, নারীর লজ্জা, নারীর নারীত্ব! নারীরা স্বাভাবিকভাবেই ভীতিপ্রবণ, ডিফেন্সিভ। এই ভীতি তার দুর্বলতা না, বরং অস্ত্র। ইনসানিয়াতকে টিকিয়ে রাখার আল্লাহপ্রদত্ত স্ট্রাটেজি যাতে করে ছোটো ছোটো বিষয়ে, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র আভাসেও সে যেন সতর্ক হয়। সন্তানকে আগলে রাখে।
..
রিসার্চ বলছে মাতৃস্নেহ বিষয়টা সরাসরি অক্সিটোসিন (Oxytocin) হরমোনের সাথে রিলেটেড, যা একজন নারীর শরীরে থাকে অনেক বেশি। অন্যদিকে টেস্টোস্টেরন (Testosterone) হরমোন এই ‘সন্তান প্রতিপালনের’ ঝোঁক কমিয়ে দেয়, যা বাবাদের বেশি। যেমন, একজন বাবা নিজের ছেলের সাথে যে পরিমাণ সময় দিয়েছে, দাদা হবার পর সময় দেয় বেশি, কারণ তার টেস্টোস্টেরোন পড়তির দিকে।
..
লেখক সাহেব তার এই বইয়ে লিখেছেন (সংক্ষেপে):
“নারীর এই ভূমিকা পুরুষতন্ত্র ঠিক করে দেয় নি, দিয়েছে নারীর বায়োলজি-বায়োলজির স্রষ্টা। যেখানে আমার বিকল্প নেই, সেখানেই তো আমি সবচেয়ে সম্মানিত। আমি সেখানে ওয়ান এন্ড অনলি, সর্বেসর্বা…“
মানবজাতির সদস্য হিসেবে আমাদের মর্যাদা সমান। কিন্তু আমরা পরস্পরের বিকল্প না। আমাদের বায়োলোজি আলাদা, তার সাথে মিলিয়ে আমাদের কর্মক্ষেত্রে আলাদা হওয়াই বায়োলোজির দাবি, শরীরের দাবি। মূল কথা হচ্ছে, নারী-পুরুষ যে ভিন্ন, একথা মেনে নিলে দুজনের জীবনই সুখের হয়। আরো বেশি পরস্পরের প্রতি সহমর্মী হয়। সহযোগিতার হাত বাড়ায়।
..
অথচ দেখুন, আমাদের মুকুটগুলো আজ ধূলোয় পর্যবসিত, মন-ভোলানো পরিভাষার মারপ্যাচে ছুটে চলেছে মরিচীকার অভিমুখে! এ দেখে যতই তারিফের বন্যা হোক, সুকুন-প্রশান্তিবিহীন অমন সত্তা তাকে ভেতর থেকে অস্থির করে রাখছে। ভুগাচ্ছে প্রতিনিয়ত বাহারি হীনম্মনতায়! কি রকম হীনম্মনতা? লেখক সাহেব এ হীনম্মন্যতাকে (Inferiority Complex) রিফিউট করেছেন:
“মাছ ডাঙ্গায় উঠলে যে হীনম্মনতায় ভোগে। আমরা ডুবসাঁতারে যে হীনম্মতে ভুগি: মাছ পানিতে চলতে পারে; আমি কেন পারবো না! মগডালে উঠতে গিয়ে মোটা বাঘটা যে হীনম্মনতায় ভুগে: বাঁদর পারলে আমি কেন পারবো না!“
__________________
আমাদের বুঝতে হবে, নিউক্লিয়ার অস্ত্র আমাদের না থাক; আল্লাহ আমাদের ঘরে ‘রব্বাতুল বাইত’ দিয়েছেন। যাদের প্রেরণা-ত্যাগের বিনিময়ে আমরা রোমান-পারস্যের পরাশক্তিকে পদানত করতে কামিয়াব হয়েছিলাম। যাদের হাতে তৈরী হয়েছে শিক্ষিত আদর্শ জাতি, সোনালি সভ্যতা!
..
আমাদের শিক্ষাবস্থা পুঁজিবাদকে সার্ভিজ দিতে শেখায়। ভালো মানুষ, ভালো স্বামী-স্ত্রী, ভালো মা-বাবা হতে শেখায় না। Capitalist Education System।অথচ, নারী-পুরুষের বায়োলোজি-সাইকোলজি, বিবাহিতার সম্পর্কের সুস্থতা-বিয়ের নিশ্চয়তা, এমনকি বিধবার সুন্দর আগামী; সবকিছুর ক্ষেত্রে দ্বীন টেকসই ও স্বাস্থ্যপ্রদ সমাধান দিয়েছে। ব্যালেন্স সেট করে দিয়েছে!
..
কাজেই, হীরার খনি পায়ের নিচে চেপে রেখে আমাদের ‘সমানাধিকার’ আর ভুল ফর্মুলার ‘এনলাইটেনমেন্টে’র ফাঁদে পা বাড়াতে হবে না। আমাদের ফিরে যেতে হবে নিজেদের ‘সুষম অধিকার’-এর এনলাইটেনমেন্টে, আমাদের ইসলামের সুশীতল ছায়ায়। এহেন জলবৎ তরলং রিয়েলটিকে লেখক সাহেব বেহতারিন ভঙ্গিতে সামারাইয করেছেন:
“তোমরা লোহার শেকল খুলে ফেলেছ বলে আমাদের ফুলের মালা খুলে ফেলতে কেন বলছো!“
..
চোখ খুলে পড়ুন। হৃদয় দিয়ে অনুভব করুন। প্রতিটি বাক্য, প্রতিটি শব্দ চুম্বকের মতো আটকে রাখে। বইটা একটা কাজের সূচনা মাত্র। এখন বাকি কাজ পাঠকদের: চাই পাঠক পুরুষ হোক কিংবা নারী!