বই রিভিউ ও ডাউনলোড

বাংলা গিটার শিক্ষা বই Pdf Download

প্রাণ প্রিয় বন্ধুরা বাংলা গিটার শিক্ষা বই Pdf Download করুন খুব সহজেই আমাদের সাইট হতে. 

এই বাদ্যযন্ত্রটর উন্নতি হয়েছে। বহু বছর আগের তবলার বোল-বাণীর সঙ্গে এখনকার বোল-বাণীর অনেক প্রভেদ পরিলক্ষিত হয়। এমন কি, তবলার আকার এবং ছাউনী পর্যন্ত পাল্টে গিয়েছে। আগে বড় মুখের তবলার ওপর শাদা এবং অন্য বিভিন্ন প্রকার রং করা পাগড়ীর ছাউনীর প্রচলন ছিল। কিন্তু এখন এর আর প্রচলন নেই। এখন বেশির ভাগ তবলার মুখ ছোট এবং ছাউনীও বোষ্বাই হয়ে গিয়েছে। আগে তবলার ওপর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বড় হাতের বোল-বাণীর প্রয়োগই রেওয়াজ ছিল। কারণ মনে হয়__তখন তবলা বাদ্যযন্্রটি শুধু গানের সঙ্গে সঙ্গত করার উদ্দেশ্যেই ব্যবহার হত। তবলার যে একটা স্বতন্ত্র ভাবধারা আছে সেটা আবিফৃত হয়নি। অনুধাবন বাদ্যযন্ত্র হিসেবেই তবলাকে দেখা হত। এবং সেই দেখার মধ্যেও একটা অম্পৃশ্যতার ভাব ছিল বিদ্যমান। গায়করা সব সময়েই নিজেদের কৌলীন্যগর্বে তবলা-শিল্পীদের বেশ ঘৃণার চক্ষে দেখতেন।

তখনকার সময়ে এমন অনেক দৃষ্টান্ত আছে, যেখানে গায়ক ও গায়িকারা নিজেদের এক আসনে তবলা-শিল্পীদের বসতে দিতেন না। ওঁরা বসতেন ওপরে । তবলা-শিল্পী বসতেন নীচে । এঁদের সহায়তা না পেলে ওঁদের গান হত না। এ সত্তেও, তীদের তবলা- চিীদেররভি মন পটার জরবিল এ দাতের টি লিভ নিট লো বই রিল  ।  পশ্চিম বাংলার টুচুড়া শহর তখনকার সময়ে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত ও সাহিত্যচর্চায় সবিশেষ পারদর্শিতা এবং অনুশীলনী প্রদর্শন করে। সেই সময়ে ওখানকার কয়েকজন সঙ্গীত-শিল্পী তাদের একনিষ্ঠ সাধনায় বিখ্যাত হয়েছিলেন। সেই সময়ে কয়েকজন তবলা-শিল্লীরও নাম পাওয়া যায়।

লালবিহারী পাঠক হেনি বিখ্যাত গায়কও ছিলেন), গোবদ্ধনচন্্র শীল, রাম অধিকারী, শ্যাম চক্রবর্তী, মন্মথনাথ অধিকারী তবলা সাধনায় ব্যুৎপত্তি লাভ করে যথেষ্ট ছাত্র তৈরি করেন। লালবিহারী পাঠক এবং গোবর্ধনচন্ত্রশীল গোবরডাঙ্গার অধিবাসী প্রখ্যাতনামা তবলা- শিল্পী তারাপদ রায়ের (গোলাম আব্বাসের ছাত্র) কাছে তবলা শিক্ষা করেন।

লালবিহারী পাঠক মহারাজ যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত ‘কলিকাতা সঙ্গীত সমাজে’দউদ্চা্গ সঙ্গীত পরিবেশন করেন। যে সময়ে বাঙালী- সমাজে সঙ্গীতচর্চা দোষণীয় ছিল। সেই প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও কলকাতার পটলডাঙ্গা অঞ্চলে যে কয়েকজন উচ্চ এবং সদ্বংশজাত বাঙালী-শিল্প উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত সাধনা করে বাঙালী শিষ্যমণ্ডলী তৈরি করেছিলেন, তারা আজো স্বরণীয় হয়ে আছেন। তারা হলেন__অবনীনাথ গক্কোপাধ্যায়, ভবানীচরণ বসু, ধীরেন্দ্রনাথ বসু, নৃপেন্ত্রনাথ বসু, গোবদ্ধন পাল এবং বিশ্বনাথ সোম। অবনীনাথ গঙ্গোপাধ্যায় তবলার ওস্তাদ, ধীরেন্দ্রনাথ বসু সরোদের ওস্তাদ, ভবানীচরণ বসু, গোবন্ধন পাল এবং বিশ্বনাথ সোমও তবলার ওস্তাদ ছিলেন। নৃপেন্দ্রনাথ বসু এস্রাজের ওস্তাদ ছিলেন।

এঁরা ছাড়া কলকাতার সুবিখ্যাত “শীল’ বংশের হরেন্ত্রনাথ শীল (সেতার) যে সুর-মূর্নার তরঙ্গ তুলেছিলেন, আজো তার রেশ বাতাসের সঙ্গে ভেসে বেড়াচ্ছে। ধীরেন্দ্রনাথ বসু, নৃপেন্্রনাথ বসু, কালী পাল এবং হরেণ শীল, ওস্তাদ কৃকুভ খার কৃতী ছাত্র ছিলেন।  বিখ্যাত সঙ্গীত-শিশ্পী শ্রদ্ধেয় রাইচাদ বড়ালের পিতা অপূর্বকণ্ঠ লালটাদ বড়াল সে যুগে উপমহাদেশে উচা্গ সঙ্গীতের প্রসারকল্লে যে একনিষ্ঠ প্রচেষ্টা করেছিলেন, তারও তুলনা মেলা দুর্লভ। শ্রদ্ধেয় রাইটাদ বড়াল__ গুণী পিতার উপযুক্ত গুণী পুত্র। উপমহাদেশ আজ তীকে গুণী বলে শ্রদ্ধা করে। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে তীর জ্ঞান অসাধারণ। তবলায়ও তদ্রপ। ওন্তাদ মসীদ্‌ খার তবলার প্রতি অনন্য-সাধারণ পাগ্তিত্য এবং ব্যুৎপত্তির পরিচয় পেয়ে রাইটাদ বড়াল তীর শিষ্যতু গ্রহণ করেন। সে কয়েকযুগ পূর্বের কথা।  একথা বলা যায়, ফরাক্কাবাদ ঘরানার ধারক ও বাহক ওস্তাদ মসীদ্‌ খা কর্তৃক বঙ্গভূমিতে ব্যাপকভাবে তবলা শিক্ষা দেওয়ার ফলে, আজ তবলার অত্যধিক প্রচলন হয়েছে। সত্য কথা বলতে হলে এই বলতে হয়-__-তবলার প্রাচীনধারার অনেক সংস্কার করে ওন্তাদ মসীদ্‌ খা যে সৃক্ষ্ ধারা প্রচলন করেছেন__তা অপূর্ব। তীর “ঘরানা’র বৈশিষ্ট্য হল__ বিভিন্ন প্রকারের নিকাশ, উঠান, পেক্কার,সেলামী, কায়দা, চলন, সাৎ, রেলা, চক্রুদার, বিস্তারসহ-গৎ, টুক্রা, পাল্লাদার-গৎ এবং লাগ্গীর রেলা। তিন তবলায় যে-সব গৎ প্রচলন করেছেন, সেগুলোকে ১০টি ভাগে ভাগ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button