সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান বই Pdf Download
আজকে আমি সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান বই pdf download লিংক নিয়ে আসলাম।
আমাদের কাজ করার সামর্থ্যের জন্য যে শক্তির প্রয়ােজন হয় তা আমরা কোথা থেকে পাই? এটা আমরা সকলেই হয়তাে জানি যে পৃথিবীতে সকল শক্তির উৎসই হল সূর্য। তাছাড়া আমাদের চারপাশে রয়েছে শক্তির বিভিন্ন উৎস। যেমন তােমরা নিশ্চয় গ্যাস দিয়ে রান্না করতে দেখেছ। আবার দেখেছ কিভাবে তেলকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে। মূলত উভয় ক্ষেত্রেই আমরা গ্যাস বা তেলকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে শক্তির জোগান দিয়েছি। এখন আমরা বিভিন্ন প্রকার শক্তির রূপ নিয়ে কথা বলব।
যান্ত্রিক শক্তি:
মনে কর তুমি দৌড়াচ্ছ বা একটি গাড়ি চলছে। এই দুই ক্ষেত্রেই গতি আনতে কাজ করতে হচ্ছে। আবার তুমি একটি ইট নিচ থেকে উপরে উঠিয়ে ছেড়ে দিলে অথবা গুলতি দিয়ে একটি আম পাড়ার চেষ্টা করছ।
এখানে তুমি ইটটিকে উপরে উঠানাের পর এতে যে শক্তি সঞ্চিত হয়েছে, তার দ্বারা ইটটি আপনা আপনি নিচে পড়ে গেল। আবার গুলতিকে প্রথমে পিছনে টানার পর যে শক্তি সঞ্চিত হয়েছে, তা দিয়েই গুলতির পাথরটি দুত গিয়ে আমটিকে আঘাত করে। এই যে দৌড়ানাে, গাড়ি চলা, ইট উঠানাে বা গুলতি দিয়ে আম পাড়া এর প্রত্যেকটির সাথেই এক ধরনের শক্তির সম্পর্ক রয়েছে। এই বিশেষ ধরনের শক্তিই হল যাত্রিক
শক্তি। যদিও এতে স্থিতি শক্তি ও গতি শক্তি ব্যাপারটি আলাদাভাবে জড়িত। গতির জন্য কাজ করার সামর্থ্য হল গতি শক্তি। যেমন, দৌড়ানাে বা গাড়ি চালানাে। আবার কোনাে বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তনের জন্য সঞ্চিত শক্তি হল স্থিতি শক্তি। যেমন ইট উপরে উঠানাে বা গুলতি দিয়ে আম পাড়া।
রাসায়নিক শক্তি:
খাদ্যে বা জ্বালানিতে যে শক্তি জমা থাকে তাকে রাসায়নিক শক্তি বলে। আমাদের দেহের জন্য প্রয়ােজনীয় তাপ ও গতি শক্তি আমরা খাদ্যে সঞ্চিত রাসায়নিক শক্তি থেকে শ্বসনের মাধ্যমে পাই। পেট্রোল, গ্যাস, কাঠ, কয়লা ইত্যাদি সব কিছুরই রয়েছে রাসায়নিক শক্তি। আমরা টর্চ বাতি বা রেডিওতে যে ব্যাটারি ব্যবহার করি তার মধ্যেও রয়েছে রাসায়নিক শক্তি।
তাপ শক্তি:
রান্না করতে, মােটর গাড়ি বা রেলগাড়ির ইঞ্জিন চালাতে যে শক্তি ব্যবহার করা হয় তাকে বলে তাপ শক্তি।
কয়লা, গ্যাস, কাঠ, পেট্রোল বা ডিজেল পুড়িয়ে এই শক্তি পাওয়া যায়। আবার সূর্য থেকেও সরাসরি তাপ আসে। এই তাপ শক্তি পৃথিবীকে উষ্ণ রাখে। তাপ শক্তি ছাড়া কোন প্রাণী বা উদ্ভিদ বেঁচে থাকতে পারতাে না।
চুম্বক শক্তি:
শক্তির আরেক রূপ হচ্ছে চুম্বক শক্তি। এই শক্তি দিয়েই কোনাে চুম্বক একটি লােহার বস্তুকে
আকর্ষণ করে।
আলােক শক্তি:
তাপ শক্তির সাথে সূর্য থেকে সরাসরি আর যে শক্তিটি আসে তা হচ্ছে আলােক শক্তি। আলােক শক্তি ছাড়া আমরা কিছুই দেখতে পারি না। সূর্য আলােক শক্তির প্রধান উৎস। আগুন ও বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালালেও আমরা আলােক শক্তি পাই।
শব্দ শক্তি:
আমরা যখন কথা বলি, গান করি বা বাঁশি বাজাই, তখন এক ধরনের শক্তি উৎপন্ন করি। এর নাম শব্দ শক্তি। শব্দ শক্তির সাহায্যেই আমরা একে অপরের কথা শুনতে পাই। টেলিফোন, রেডিও, টেলিভিশনে শব্দ শক্তি ব্যবহার করা হয়। পদার্থের কম্পন থেকে শব্দের উৎপত্তি হয়।
বিদ্যুৎ শক্তি:
শক্তির একটি অতি পরিচিত এবং প্রয়ােজনীয় রূপ হচ্ছে বিদ্যুৎ শক্তি। বিদ্যুৎ শক্তি দিয়ে আমরা বাতি জ্বালাই, পাখা চালাই। কল-কারখানা বিদ্যুৎ শক্তি দিয়ে চলে। অনেক দেশে রেলগাড়িও বিদ্যুৎ দিয়ে চলে। বিদ্যুৎ শক্তি এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় তারের সাহায্যে নিয়ে যাওয়া যায়।
সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান বই pdf download link: download class-7-science-book-pdf