Sadat Hossain all Books Pdf Download
Pdf: তোমার নামে সন্ধ্যা নামে সাদাত হোসাইন – tomar name soindha name pdf sadat hossain pdf download
এটা ২০২১ সাদাত হোসেনের নতুন বই তোমার নামে সন্ধ্যা নামে সাদাত হোসাইন pdf download free
বুক রিভিউ
বই: তোমার নামে সন্ধ্যা নামে
লেখক: সাদাত হোসাইন
রিভিউ লেখা: হালিমা সাদিয়া
ব্যক্তিগত রেটিং: ১০/১০
প্রকাশনী: অন্যপ্রকাশ
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২২৪
কভার মূল্য: ৫০০ টাকা
ছাড় মূল্য: ৩৫০ টাকা
.
লেখক সাদাত হোসাইনের “তোমার নামে সন্ধ্যা নামে” এটাই প্রথম পড়া বই। এতদিন সবার থেকে লেখকের লেখা সম্পর্কে জেনেছি। তাই ভীষণ ইচ্ছে করছিল একটা বই পড়ে দেখতে। পড়তে যেয়ে এভাবে লেখকের লেখার জালে আটকে পড়বো আশা করিনি। গল্প-উপন্যাস যাই পড়ি না কেনো, সাধারণত প্রতিটি চরিত্র সবসময় আমার চোখের সামনে দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। “তোমার নামে সন্ধ্যা নামের” ক্ষেত্রেও তেমনি হয়েছে। যতই এক পৃষ্ঠা
পড়ে অপর পৃষ্ঠায় যাচ্ছিলাম, ততই যেন কেমন ঘোর লাগা এক মুগ্ধতায় প্রতিটি চরিত্রের গভীরে হারিয়ে যাচ্ছিলাম। এ কেমন জীবন মানুষের! যে জীবনটা যেন এক কুয়াশায় ডাকা চাদরের মত, যার সম্পূর্ণটা এক জীবনে কখনোই পরিষ্কার বোঝা যায় না।
.
মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় মেয়ে নদী। বাবার অসুস্থতায় কি ভীষণভাবেই না নিজের সর্বোচ্চটুকু উজাড় করে পরিবারটিকে একা আগলে রাখতে চেষ্টা করেছে। দীর্ঘ এই কঠিন পথ পাড়িতে সজল এসে আলো জ্বালিয়েছিল। এই আলোয় নদীর মনে হচ্ছিল তার স্বপ্নগুলো এক এক করে সত্যি হচ্ছে। কিন্তু এই স্বপ্নময় জীবনেও টুকরো টুকরো মেঘ এসে জমেছিল। যে মেঘের গর্জনে ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল এই ভালোবাসাময় জীবন! যদিও ছোট্ট রুনি নিজের অজান্তেই বাবা-মাকে আবার একই সুতোয় বাঁধতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত রুনি কি তাদের পুরোপুরি বাঁধতে পেরেছিল?
.
উপন্যাসের অন্যতম রহস্যময় একটি চরিত্র ফজলু মিয়া। অনেক ভেবেও এই ফজলু মিয়াকে আমি নির্দিষ্টভাবে ভালো বা খারাপ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারিনি। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল মানুষটা আর যাই করুক না কেনো তার মনটা অন্তত ভালো এবং দয়ালু। কিন্তু যখন সবচেয়ে কাছের মানুষ হেলালকেও খুন করে ফেলল নিজ স্বার্থে, ঠিক তখনই আমি দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে গেলাম।
.
নিতু! সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে এই চরিত্রটি। কত যত্ন করে অন্তহীন দুঃখগুলোকে বুকে পুষে রেখে দিব্যি বেঁচে আছে মেয়েটি। কিভাবে ভয়ংকর বাস্তবতাও নিঃশব্দে মেনে নেওয়া যায় শিখিয়ে দিল এই মৃতপ্রায় মেয়েটি। কেনো যেন অন্তুর জন্যও খুব খারাপ লেগেছে। সারাজীবন পাগলের মত ভালোবেসেও একটি ভুল শোধরাতে পারলনা। আসলে জীবনটা তো এমনি, যার “কিছু ক্ষত কখনোই শুকায় না। কিছু দুঃসহ স্মৃতি কখনোই মুছে যায় না।”
প্রতিটি চরিত্রের মত আকিব, রায়হান, শায়লা বেগম এবং শশধরের চরিত্রটিও মন ছুঁয়ে গেছে। সম্পূর্ণ কাহিনিবিন্যাসটি দারুণ দারুণ দারুণ লেগেছে।
উপন্যাসের সুরে শেষে বলব—–
“তোমার নামে সন্ধ্যা নামা শহর জানে,রোজ কতটা আঁধার জমাই অভিমানে !রোজ কতটা কান্না জমাই বুকের কোণে,তোমার নামে রাত্রি গভীর শহর জানে।”