বই রিভিউ ও ডাউনলোড

ভূমি আইন বই PDF Download (All)

নতুন সব ধরনের ভূমি আইন বই PDF Download – Bangla Pdf

ভূমি আইন  ১৯৭৩ সালের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের দোষগুণ উল্লেখে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজান্বত্ব আইনের এঁতিহাসিক পটভূমি বিষয়ে একটি রচনা লিখ।  উত্তর : প্রাচীন ভারতে হিন্দু আমলে এবং পরবর্তী মুসলিম আমলে ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থায় মধ্যস্বত ভোগীর কোনো স্থান ছিল না। তৎকালে সাধারণত সরকার প্রত্যেক গ্রামে থ্াম্য মাতব্বরের সহায়তায় কৃষকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করিত। অবশ্য কিছু কিছু ব্যতিক্রম যে ছিল না এমন নয়। প্রথমত, মুসলিম আমলে মোগল সম্রাটের অধীনস্ত অনেক হিন্দু রাজা নিজেদের এলাকাকে এমন স্বাধীনভাবে নিয়ন্ত্রণ করিতেন যে, তাহাদের নিকট হইতে একটা বাৎসরিক কর আদায় ব্যতীত কেন্দ্রীয় মোগল সরকারের আর বিশেষ কিছু করিবার থাকিত না।

বাংলাদেশ ভূমি আইন ২০২০ pdf: দ্বিতীয়ত, অনেক সময় মোগল সরকার নিজেদের কর্মচারীদিগকে মাসিক অথবা বাৎসরিক মাহিনা নগদ টাকায় না দিয়া তাহাদিগকে এক একটি এলাকার রাজস্ব আদায়ের অধিকার দিতেন এবং এইভাবে জায়গীর প্রথার প্রচলন হয়। তৃতীয়ত, কোনো কোনো ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার গ্রাম্য মাতব্বরদের উপর নির্ভর না করিয়া সরাসরি নিজেদের কর্মচারীর মাধমে কৃষকদের নিকট হইতে ন্ট পরিমাণ রাজৰ আদায় করিয়া কেন্ত্রীয় কোষাগারে জমা দিত।  ১৭৬৫ খ্রিষ্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মোগল সম্রাটের নিকট হইতে দেওয়ানি লাভ করিয়া বাংলাদেশে রাজস্ব আদায়ের ভারপ্রাপ্ত; হয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ছিল একটি বিদেশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।

ভূমি আইন ও বিধিমালা বই: vumi ayin pdf: এই দেশে মুনাফা লুণ্ঠন করাই ছিল তাহার প্রধান উদ্দেশ্য। ইহা ব্যতীত এ সময় কোম্পানির ব্যবস্থাপনার মধ্যে নানা ধরনের সমস্যা এবং বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় এবং কোম্পানির কর্মচারীরা যথেচ্ছভাবে চারিদিকে ব্যক্তিগত মুনাফা ও লুটতরাজ আরন্ত করে। ফলে কৃষকদের অবস্থা অল্প কয়েক বৎসরের মধ্যেই অদৃষ্টপূর্ব সংকটের সম্মুখীন হয় এবং তাহাদের জীবনে নামিয়া আসে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা ব্যাপক ও ভয়াবহ এক দুর্ভিক্ষ-ছিয়াত্তরের মন্বত্তর। বাংলা ১১৭৬ সালে এই দুর্ভিক্ষ হয় বলিয়া ইহাকে ছিয়াত্তরের মন্বত্তর বলা হয়। খরা এই দুর্ভিক্ষের একটি প্রধান কারণ হইলেও উপরিউক্ত কারণগুলিও এই দুর্ভিক্ষকে যথেষ্টভাবে আগাইয়া নিয়া আসে ।  দেওয়ানি লাভের পর কোম্পানি স্থানীয় বিস্তবানদের কৃষকদের নিকট হইতে খাজনা আদায়ে জন্য “একসালা বন্দোবস্ত” দিত। পরে ১৭৭২ সালে “একসালার” পরিবর্তে “পাচসালা” চালু হয় । এইভাবে “একসালা” “পাচসালা” এবং পরে “দশসালা” বন্দোবস্ত কোম্পানির ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থাকে একটি নিশ্চিত ও দৃঢ় ভিত্তির উপর দীড় করাইতে ব্যর্থ নিকট এক নতুন ব্যবস্থার প্রস্তাব করেন এবং কোম্পানি কর্তৃক ইহা ১৭৯৩ খ্রিষ্টাব্দে অনুমোদিত হয়। এই ব্যবস্থাই “চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত” নামে পরিচিত ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button