Currently set to Index
Currently set to Follow
বই রিভিউ ও ডাউনলোড

দ্যা স্টোনম্যান মার্ডার বই রিভিউ

📚বইঃ দ্যা স্টোনম্যান মার্ডার
✒️লেখকঃ এ আর চৌধুরী রাহি
📝পাঠকঃ আবুল হাসেম মোহন
⏱️ প্রকাশ কাল- ২০২১
✅ জনরাঃ থ্রিলার
#rokomari_book_club_review_competition

💥 বইয়ের সারসংক্ষেপঃ
শহরে একের পর এক অজ্ঞাতনামা মেয়ের লাশ পাওয়া যাচ্ছে। অজ্ঞতনামা বালার কারণ হলো প্রত্যেকটা লাশের মুখ পাথর দিয়ে থেতলে দেয়া। আর ফরেনসিক রিপোর্ট এর পর জানা যায় মেয়েটা ধর্ষনের শিকার হয়।

গল্পের মূল চরিত্র হলো মিরাজ। মিরাজ একজন ক্রাইম রিপোর্টার ওরোফে খুনির সাংবাদিক। মিরাজের অফিসের নিচের চা ওয়ালা তাকে খুনির সাংবাদিক বলে ডাকে আরকি। মিরাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা করে দৈনিক বাংলা পত্রিকায় তিন বছর ধরে কাজ করছেন। মিরাজের পরিবার সর্ম্পকে যদি বলি। পাঁচ জনের পরিবারে বাবা-মা আর দুই বোন মিনা আর দিনা। মিনা সারাদিন গল্পের বই নিয়ে পড়ে থাকে অন্যদিকে দিনা সারাদিন সাজগোজ নিয়ে পরে থাকে। আর মিরাজের বাবা প্রত্যেকদিন মিরাজকে বলে সাংবাদিকতা দিয়ে কি হবে? ভালো একটা চাকরি জোগার করো খুব তাড়াতাড়ি। আর মিরাজের মা সবাইকে বাবার বকাঝকা থেকে আগলে রাখে। ❤️

একদিন খুব সকালে ফোন কলের শব্দে মিরাজের ঘুম ভাঙ্গে। প্রাপ্ত বয়স্ক হবে এমন একজনের কন্ঠ ভেসে আসে, যাত্রাবাড়ি ফ্লাইওভারের নিচে একটি লাশ পাওয়া গেছে তাড়াতাড়ি চলে আসো প্রিয়! কল আসার পরপরই মিরাজ ছুটলো সেই লাশের কাছে। গিয়ে দেখে লোকজন লাশকে ঘিরে দাঁরিয়ে আছে। মিরাজ সেখানে গিয়ে চুপচাপ তাদের কথা শুনছে নিজে কিছু বলল না। একটু পর পুলিশে এলো মিরাজকে দেখে ওসি নাজমুলের চিনতে দেরি হলো না। দুইজন একসাথে লাশের কাছে গেলো লাশের দিকে তাকাতেই দুজনের চোখ কপালে উঠেলো। আগের অজ্ঞাতনামা মেয়ের লাশের মতই এখানেও লাশের হাতে একটি বই আর লেখকের নাম লেখা। একে একে ছয়টি খুন হয়ে গেলো। ওসি কথাটা তার কমিশনারকে জানাতেই তিনি রেগে যায় আর এই কেইস এর দায়িত্ব ডিটেকটিভ মনিরুজ্জামান কে দেয়। ওসি নাজমুল, মনিরুজ্জামানকে সব খুলে বলল এই কেইস সম্পর্কে। এরপর মনিরুজ্জামানও কাজ শুর করলেন কিন্তু কেউ কোনো ক্লু বের করতে পারছে না। লাশের স্পটে আবার তল্লাশি চালানের পর পাওয়া গেলো ওই লাশের এক জোরা জুতা। জুতাটা ফরেনসিকে পাঠনো হলো। এদিকে মনিরুজ্জামান কোনো কুলকিনারা না পেয়ে আরেকজন ডিলেকটিভ হুসাইন জীবন এর কাছে যায় সাহায্যর জন্য। জুতার ফরেনসিক রিপোর্টে হেন্ডগ্লাভস এর পাউডার পওয়া যায় আর এই হেন্ডগ্লাভস কোম্পানি আর দোকান এর সিসিটিভি খুজে বেরিয়ে এলো মিরাজ এই হেন্ডগ্লাভস কিনেছিলো। সাথে সাথে গ্রেফতার করা হয় মিরাজকে কিন্তু মিরাজ কোনভাবেই শিকার করছে না যে সে খুনটি করেছে। আর এদিকে ডিটেকটিভ হুসাইন জীবন মনিরুজ্জামানকে বলে আগামী দুই দিনের মধ্য খুনিকে পেয়ে যাবেন!!!

তাহলে আসল খুনি কে? মিরাজ নাকি অন্য কেউ!
ডিটেকটিভ হুসাইন জীবন কি তাহলে জানে আসল খুনি কে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button