বই রিভিউ ও ডাউনলোড

৩৫+টি মনস্তাত্ত্বিক বই Pdf Download

হ্যালো সবাইকে, আজকে আমি ৩৫+টি মনস্তাত্ত্বিক বই Pdf Download ও রিভিউ নিয়ে তোমাদের সামনে হাজির হলাম। বইগুলা কেমন হল তুমিই যাছাই কর।

ক্যাটাগরি:  মনোবিজ্ঞান বিখ্যাত বই

  • ব্রেইনফ্লুয়েন্স : দ্য সাইকোলজি অব মার্কেটিং
  • দ্য ম্যাজিক পাওয়ার অব সেলফ-ইমেজ সাইকোলজি
  • মনোবিজ্ঞান – পুস্প অধিকারী Pdf Download ডাউনলোড লিংক: click here

  • অপরাধ তত্ত্ব Pdf Download by ডাঃ পঞ্চানন ঘোষাল ডাউনলোড লিংক: click here
  • বিচার ও তদন্ত কাহিনী Pdf Download ডাউনলোড লিংক: click here (mediafire link)
  • মাইন্ড রিডার – অনুবাদ  : Click_Here

  • দ্য পাওয়ার অব ইউর সাবকনশাস মাইন্ড – অনীশ দাস অপু(জোসেফ মারফি) : Click_Here

  • দ্য আর্ট অব থিংকিং ক্লিয়ারলি -রোলফ ডোবেলি  : Click_Here

  • বডি ল্যাংগুয়েজ – অনুবাদ  : Click_Here

bangla-psychology-books-pdf

আপনার ভেতরে নতুন পৃথিবী গড়ে তুলুন –

আমার এ বইখানা লেখার উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট: আপনাদের সবাইকে আমি সাহায্য করতে চাই, পৌছে দিতে চাই আরো সুখী এবং উৎপাদনশীল জীবনের দ্বারপ্রান্তে । আপনি যদি চান আমি আপনাকে সাহায্য করি এবং সুন্দর জীবনের জন্য আপনার আকাঙ্ফা যদি হয় মজবুত, দেখবেন আপনার দিগন্ত আপনার কল্পনার চেয়েও কত উজ্ভ্বল।

জীবন এক উত্তেজক ত্যাডভে্ঝর। আপনার উচিত নিজের লক্ষ্যপ্ডলো এমনভাবে সাজানো যা আপনাকে স্বতস্কুর্তভাবে কাজ করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে । তেজ নিয়ে এগিয়ে যান জীবনের দিকে, বয়স যতই হোক, মৃত্যুকে ভয় পাবেন না।

বেঁচে থাকার অন্যতম রোমাঞ্চঙহলো নিজেকে আরো ভালো করে জানা । দুঃখের কথাই বটে কেউ কেউ গোট্া-একটা জীবন পার করে দেয় কোথাও না পৌছেই, তারা নিমজ্জিত থাকে হতাশায় কারণ তারা নিজেদের সম্পর্কে কিছুই জানে না, বুঝতে পারে না কীভাবে সমস্যা সামাল দেবে, পরিবেশের কারণে অনেকের ক্ষেত্রে এরকম হয়।

আপনি এ বইটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন, গ্রন্থখানা হবে নিজেকে আবিষ্কারের এক যাত্রা । নিজের সম্পর্কে আপনি আরো জানতে পারবেন, শিখবেন নিজেকে উন্নত করে তোলার পন্থা। আমি বইটিতে সাতটি অনুশীলনের কথা বলেছি এবং বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দিয়েছি যা আপনার পরিভ্রমণে সাহায্য করবে।

বস্তগত জিনিস কিনে আমেরিকানরা প্রতিবছর প্রচুর টাকা খরচ করে। তারা এ দিয়ে তাদের ইতিবাচক উদ্দেশ্যগুলো পূরণ করে। বাড়ি, গাড়ি, আসবাব, পোশাক এসব আমাদের জীবন উৎফুল্ল করে তোলে। তবে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নিজেকে নিয়ে চিন্তা করা। এ বইতে সেই ধারণাই রয়েছে, আমাদের সেলফ-ইমেজ বা আত্ম ছবির কথা এবং কীভাবে এর উন্নতি ঘটানো যায় তার দিক নির্দেশনা।

আপনি যখন বইটি পড়তে থাকবেন, নিজের সেলফ-ইমেজের অবিশ্বাস্য ক্ষমতার কথা জেনে নিজেই অবাক হয়ে যাবেন, জানবেন একজন মানুষ হিসেবে এটি আপনার নিয়তিতে কী দারুণ প্রভাব বিস্তার করে। প্লাস্টিক সার্জন হিসেবে কাজ করতে গিয়ে আমি বিষয়টি প্রথম বুঝতে পারি এবং আমার আইডিয়া আপনাদের সঙ্গে ভাগ করতে পেরে আমি আনন্দিত। কিছু লোক নিজেদের স্বল্প পরিবর্তন করে এবং কখনোই সম্পূর্ণ স্বপ্ন পূরণ করতে পারে না। ঈশ্বর আমাদেরকে এ পৃথিবীতে এনেছেন বাচার জন্য, নিশ্চল স্রোতের মতো হয়ে থাকার জন্য নয়, তিনি চান আমরা সুখী হই, জীবনটাকে উপভোগ করি।

সুখ একটি অভ্যাস, যেমন প্রতিদিন আমরা দীত মাজি সেরকম । আপনি এ অভ্যাসটি অর্জন করতে পারেন। নিজেকে এবং নিজের পৃথিবী নিয়ে যদি আপনার ভেতরে থাকে তিক্ততা, আপনি এটা বদলে ফেলতে পারবেন। আপনি সুখের অভ্যাসটি ধরে রাখতে পারবেন। এগুলো প্রেফ “কথার কথা” নয়। আমি অনেক মানুষকে চিনি ধারা বদলে গিয়েছেন; তীরা- তাদের কাছে অচেনা এক পৃথিবীতে প্রবেশ করেছিলেন, সেটি ছিল তীদের/অভ্যন্তরীণ সুখের এক অসাধারণ জগত। আশাকরি আপনি আমাকে এই (দ্রিকে আপনাকে নিয়ে যেতে সাহায্য করবেন-_সুখের পথে ।

এক
আপনার সেলফ-ইমেজ আপনাকে দিতে পারে জীবনের মঞ্চে এক চমৎকার শুরু কল্পনা করুন আপনি একটি প্রেক্ষাগৃহে বসে আছেন। তাকিয়ে রয়েছেন পর্দার দিকে যা কালো পর্দার পেছনে লুকানো । আপনি অপেক্ষা করছেন কখন শুরু হবে ছবি।
এ ছবিটি আপনার জন্য কী করবে? এটি আপনাকে কীভাবে প্রভাবিত করবে? এটি আপনার জীবনে কী অভিঘাত রাখতে পারে?

আপনি কি ছবি দেখে কীদেন? কমেডি দেখে হাসেন অথবা হিরো কিংবা হিরোইনের বিপদ দেখে আতংকবোধ করেন?

এ সমস্ত অনুভূতি ছবি দেখার সময় আপনার ভেতরে প্রবাহিত হয়। এ প্রেক্ষাগৃহে আপনিই প্রযোজক, পরিচালক, লেখক, অভিনেতা অথবা অভিনেত্রী কিংবা ভিলেন। আপনিই ফিল্ম টেকনিশিয়ান এবং দর্শকও আপনি।

এ অভ্যন্তরীণ পর্দায় যে উত্তেজক গল্পটি ভীজ খুলতে শুরু করেছে তা আপনার জীবনের প্রতিটি সেকেগুকে আবিষ্কার করে চলেছে_-গতকাল, আগামীকাল এবং সবচেয়ে গুরত্তৃপূর্ণ বর্তমান মুহূর্ত ।

ছবিটির কি সুখরেন সমাপয়েৎ ঘটবে? এতে কি শুধু সুখ আর সাফল্যের কথা রয়েছে নাকি দুঃখ এবং ব্যর্থতার কাহিনী? গল্পের রূপরেখাটি ওখানে রয়েছে এবং উপলব্ধি করার চোখ বলতে পারবে গল্প কোন্‌ দিকে ধাবিত হবে।

তবে একটি বিষয় আপনাকে স্বস্তি দিতে পারে । যেহেতু এ ছবির আপনিই চিত্র নাট্যকার, পরিচালক এবং অভিনেতা, আপনি গল্প বদলে ফেলতে পারবেন যখন এটি তার ভাজ বা পরত খুলতে শুরু করবে। এ মুহুর্তে । এক্ষুনি এবং আপনার সারাজীবনের জন্য ।

আপনি এটিকে একটি সফল গল্প বানাতে পারেন। আপনি হিরো হয়ে ভিলেনকে পরাভূত করতে ‘পারেন। এবং আপনি ছবিটিকে এমন চমতকার একটি গল্প দিয়ে বানাতে পারেন যেটি আপনার পরিচিত সকলের জীবন সমৃদ্ধ করে তুলবে।

এর পুরোটাই রয়েছে আপনার ভেতর ।

সবকিছু নির্ভর করছে আপনি নিজের ভেতরে যে্‌ ছবিটি বহন করে চলেছেন তার ওপর । এটি এমন একটি ছবি যা ভালো কিংবা মন্দ করার জন্য আপনার
সবচেয়ে গুরুতৃপূর্ণ যন্ত্র।

এটি পুরোই নির্ভর করছে আপনার. ওপর এবং আপনার সেলফ-ইমেজ বা আত্মছবির ওপর ।
নিজেকে নিয়ে মোশান পিকচার বানান সেলফ ইমেজ বলতে আমরা কী বুঝি? এরকম সত্যি কি কিছু আছে?

আমরা জানি মন বলে একটি জিনিস আছে যা কখনো কেউ দেখেনি । আমি মগজের কথা বলছি যা সকলেই দেখতে পায়। কিন্তু মন ভাবতে পারে, চিন্তা করে, আশা করে, ভয় পায়, আনন্দিত হয়ে ওঠে, বিষাদ্লিষ্ট হয়, স্মৃতিচারণ করে, উপলব্ধি করে।

মস্তিষ্ক বা ব্রেনের মতোই মনেরও রয়েছে বাস্তবতা-যদিও একে না পাই দেখতে, না পারি ছুঁতে কিংবা অনুভব করতে ।

সেলফ ইমেজেও রয়েছে বাস্তবতা যদিও একে স্পর্শ করা যায় না, অনুভব করা যায় না কিংবা দেখাও যায় না$আমি আপনাকে সাহায্য করবো আপনার সেলফ-ইমেজ ব্যবহার করে যে ছবিটি সবসময় দেখতে চান সেটি ডেভেলপ করতে যে ছবি ঘিরে থাকা সমস্যা আপনি উত্তরণ করে একটি সফল ও সুখী উপসংহারের দিকে ধাবিত হবেন।

সেলফ ইমেজ কেন এতো গুরুতৃপূর্ণ?

আমার পূর্বেকার বই এ আমি ব্যাখ্যা দিয়েছি সেলফ-ইমেজ হলো আপনি যেরকম মানুষ তারই কনসেপশন। এটি হলো অতীতের অভিজ্ঞতা, সাফল্য, ব্যর্থতা, অপমান ও বিজয়ের উৎপাদন এবং আপনার সঙ্গে লোকে যেভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে, বিশেষ করে শৈশবকালে। এসব ফ্যাক্টরসহ অন্যান্য বিষয় থেকে আপনি নিজের একটি ছবি তৈরি করেন যা.
সত্যি বলে বিশ্বাসও করেন। ছবিটি ফলস বা ভুয়া হতে পারে তবে এখানে জরুরি বিষয় হলো আপনি ভাবছেন এটি যেন সত্যি । তবে এই যে ছবিটি বা সেলফ- ইমেজ কিন্তু পরিবর্তন করা যায় এবং হাজারও মানুষের ক্ষেত্রে তা বদলেও গেছে তাতে হতাশার কোনো কারণ ঘটেনি।

একটি কথা আপনাকে বুঝতে হবে: এ ছবির আপনিই লেখক, আপনিই
পরিচালক এবং আপনিই অভিনেতা হিসেবে শুরু করেছেন.।

আপনাকে যা শিখতে বা জানতে হবে তা হলো, এতে আরেকটু বেশি সময়
এবং এনার্জি দিয়ে কীভাবে ছবিটি বদলানো যায়।

আপনার মানসিক ছবিটি বদলে দিতে আমরা একসঙ্গে কাজ করবো। এই
সেলফ-ইমেজ যেসব ফ্যাক্টর দিয়ে তৈরি তা নিয়ে আমরা আলোচনা করবো।
বারবার কারণ কনসেনট্রেশন বা মনোযোগ ভীষণ জরুরি। আপনার নিজের
সম্পর্কে যে ধারণা রয়েছে তা জনসংজ্ঞয়িত করতে আমরা মানসিক ছবির
শক্তিশালী হাতিয়ার ব্যবহার করবো।

শুধু কথা বলাই যথেষ্ট নয়। এ বইতে আপনি সাতটি প্রাকটিস এক্সারসাইজ দেখতে পাবেন, কল্পনার এসব অনুশীলনের প্রতিটি আপনাকে আপনার আগের সীমাবদ্ধতার বেড়াজাল ভেঙে ফেলতে সাহায্য করবে। যেসব স্বআরোপিত বাধা আপনার স্বপ্নগুলোকে আটকে রেখেছে তা ভেঙে ফেলতে সাহায্য করবে আপনার মানসিক ছবির শক্তি।
– এই অনুশীলনগুলো আপনার জন্য খুবই গুরুত্পূর্ণ। এগুলোকে নিয়ে আপনার মনে যেনো কোনো সন্দেহ না জাগে । এগুলো ধরা যায় না, ছোয়া যায় না। তবে ছবিগুলো আপনি দেখতে পাবেন-_-এ হলো দুর্লভ ক্ষমতার প্রোডাক্ট ।
আপনার মনছবির এ ক্ষমতা অসাধারণ। এ ক্ষমতার অভিঘাত বুঝতে আপনার জন্য কঠিন লাগতে পারে । তবে আপনার নিশ্চয় বিশ্বাস আছে। সেক্ষেত্রে আমি আপনাকে সাহায্য করতে পারবো।

আপনার মেন্টাল বু প্রিন্ট
সেলফ-ইমেজ আবিষ্কার নিঃসন্দেহে এ শতকের অন্যতম গুরুতৃপূর্ণ প্রাপ্তি। যদিও আমরা হয়তো এ ব্যাপারটি ঠিক বুঝতে পারি না। তবে সকলেই এই মেন্টাল বু প্রিন্ট বা নিজেদের ছবি বহন করে চলেছি। আমরা হয়তো এ বিষয়ে সচেতন নই, কিন্তু এর অস্তিত্ব রয়েছে। আমরা এতে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী এবং এর বৈধতা নিয়ে কোনো প্রশ্নও তুলি না।

তাছাড়া আমাদের সমস্ত কর্মকাণ্ড এবং আবেগ আমাদের সেলফ-ইমেজকে ঘিরেই । আপনি নিজেকে যেমনটি মনে করেন আপনার আচরণও হবে সেরকম।

আপনি আপনার সমস্ত ইচ্ছাশক্তি নিয়ে অনুশীলন করলেও অন্যরকম আচরণ করতে পারবেন না। যে লোক নিজেকে মনে করে “ব্যর্থ টাইপের” সে ব্যর্থতার রাস্তাই খুঁজে পাবে, যতই সফল হওয়ার চেষ্টা করুক লাভ হবে না, তার জীবনে দু’একটি সুযোগ এলেও কাজ হবে না। যে মানুষ ভাবে সে “দুর্ভাগা” সে প্রমাণ করে ছাড়বে সে সত্যিই দুর্ভাগ্যের শিকার।

সেলফ-ইমেজ হলো আমাদের গোটা ব্যক্তিত্বের ভিত্তি প্রস্তর। একজন সেলসম্যান যদি মনে করে সে কোনো কম্মের না সে কিন্তু সত্যি সাফল্য পাবে না। সে সবকিছুর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে, নিজে সেধে ডেকে নিয়ে আসবে প্রত্যাখ্যান। তাকে কেউ পছন্দ করবে না। সে একজন ব্যর্থ মানুষ।

হাইস্কুলে পড়া যে মেয়েটি ভাবে সে দেখতে কুৎসিত এবং ছেলেদের কাছে অনাকর্ষণীয়া, সে কিন্তু নিজের ইমেজটি ওভাবেই প্রমাণ করে ছাড়বে । কোনো ছেলে যদি বলে তার ফিগার সুন্দর, মেয়েটি তার চিবুকের আচিলের কথা ভাববে ।
কেউ যদি বলে তার চোখ সুন্দর, সে নিজেকে বলবে তার নাকটা খুব লম্বা। নিজের সম্পর্কে এই নেতিবাচক ধারণাই তার গুণগ্রাহীদের তার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেবে এবং সে নিশ্চিত হয়েই দেখবে সে দেখতে কুৎ্সিত।

আপনি আপনার সেলফ+ইমেজ বদলাতে পারেন তথাকথিত “বস্তুনিষ্ঠ সত্য’র কারণে লোকে বুঝতেই পারে না যে সমস্যাটি তার নিজের মূল্যায়নের মাঝে । আপনি যদি ওই সেলসম্যানকে বলেন আসলে সে একাই শুধু খামোকা ভাবছে সে জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারবে না, বিক্রেতাটি আপনার দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকাবে । সে জানে সে বহু চেষ্টা করেছে কিন্তু
কোনো ফল হয়নি। আপনি যদি ওই মেয়েটিকে বলেন সে দেখতে বেশ অনাকর্ষণীয়া, সে-ও প্রমাণ করার চেষ্টা করবে যে আপনি ভুল বলেছেন। কারণ, তার তো কোনো বয়ফ্রেন্ড নেই।

কিন্তু বাস্তবে আমি অনেক সেলসম্যানকে চিনি যারা নিজেদের বদলে ফেলেছে। তার আয়-ইনকামে অলৌকিক পরিবর্তন এসেছে। আমি এমন মেয়েকে চিনি যে কারো সঙ্গে মিশতে পারে না বা চায় না, তারও বয়ফ্রেন্ড আছে এবং তাকেও অনেকে পছন্দ করে–এসব পরিবর্তন কিন্ত এসেছে তারা তাদের সেলফ-ইমেজের গুরুত্ব বোঝার পরে। মোদ্দা কথা এটাই-_সেলফ-ইমেজ পরিবর্তন করা যায়। আর এ

পরিবর্তনের জন্য কোনো নির্দিষ্ট বয়সসীমা নেই । যে কেউ যে কোনো বয়সে তার আত্মছবির পরিবর্তন ঘটিয়ে একটি নতুন এবং আরো উৎপাদনশীল এবং সৃজনশীল জীবন শুরু করতে পারে।

আগে অনেকের কাছে তার মৌল অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করা কঠিন ছিল কারণ, তার মূল প্রচেষ্টা ধাবিত হতো নিজের পরিধির দিকে । অনেকে “ইতিবাচক চিন্তা” করে কিছু বাহ্যিক বাধা পার হতে চেয়েছে (আমি আগামী সপ্তাহ থেকে আরো রিল্যাক্স হবো। আমি পরীক্ষায় পাস করবো)। তবে তারা নিজেদের পরিবর্তনের কোনোই চেষ্টা করেনি।

“ইতিবাচক চিন্তা’কে পুরনো সেলফ-ইমেজের এক ধরনের প্রাণ বলা চলে- তবে এটি খুব একটা ফলপ্রসূ নয়। কেউ যদি নিজের সম্পর্কে নেতিবাচক একটা ধারণা নিয়ে গ্যাট হয়ে বসেই থাকে তাহলে তাকে ইতিবাচক অবস্থানে নিয়ে nযাওয়ার সাধ্য কার?

সেলফ-ইমেজ সাইকোলজির একজন অগ্রদূত প্রেসকট লেকি কিছু বিশ্বাসযোগ্য গবেষণা করেছেন। তার কাছে ব্যক্তিত্ব মানে আইডিয়ার সিস্টেম যা একটি অপরটির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। আইডিয়া সঙ্গতিপূর্ণ না হলে তা সিস্টেম থেকে প্রত্যাখ্যান হয় বলে তার বিশ্বাস। আর সঙ্গতিপূর্ণ আইডিয়া গৃহীত হয়। আর আইডিয়ার সিস্টেমের কেন্দ্রবিন্দুতে-থাকে একজন মানুষের সেলফ-ইমেজে নিজের কনসেপশন।

লেকির বিশ্বাস, কোনো ছাত্রের যদি কোনো বিষয় শিখতে সমস্যা হয় তাহলে nএমনটি হওয়ার কারণ ছাত্রের পয়েন্ট অব ভিউ বা দৃষ্টিভঙ্গি। ওই বিষয়টি লেখা তার জন্য সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তবে লেকি বলেছেন, আপনি যদি ছাত্রটির এরকম মনোভাবের সেলফ কনসেপশন বদলে দিতে পারেন তাহলে ওই বিষয়টি সে ভিন্ন চোখে দেখবে। ছাত্রটি নিজের সেলফ ডেফিনেশন বদলাতে পারলে শেখার সামর্থও সেইসঙ্গে বদলে যাবে। এরকম প্রমাণিত হয়েছে।

এক ছাত্র দুর্বল স্পেলার হওয়ার কারণে অনেকগুলো বিষয়ে ফেল করার ফলে তার শিক্ষা জীবন থেকে একটি বছর হারিয়ে যায়। তবে পরের বছর সে দারুণ ফলাফল করে এবং স্কুলের সেরা স্পেলার হয়। আরেক ছাত্র ভালো গ্রেড .করতে না পারায় কলেজ থেকে বিতাড়িত হয় কিন্তু সে-ই পরে দেশের অত্যন্ত স্বনামধন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের “১ স্টুডেন্ট হিসেবে খ্যাতি লাভ করে।

মনস্তাত্ত্বিক বই Pdf Download লিংকঃ  Click to download all psychology-books-pdf

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button